Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Presents
Investment Tips

কী ভাবে নির্বাচন করবেন সঠিক মিউচুয়াল ফান্ড?

মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক বিভ্রান্তি আসে। জেনে নিন মিউচুয়াল ফান্ডে কোথায় কোথায় আপনি সঠিক ভাবে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩২
Share: Save:

পছন্দের জিনিসের অনেকগুলি বিকল্প থাকলে সেখান থেকে যে কোনও একটি বেছে নেওয়া বেশ কঠিন। যেমন জামাকাপড় বা গাড়ি কেনার সময়ে বা কোনও চাকরির প্রস্তাব এলে হয়ে থাকে। একই কারণে টাকা রাখার ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রসঙ্গে অনেক ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যেমন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক বিভ্রান্তি আসে। জেনে নিন মিউচুয়াল ফান্ডে কোথায় কোথায় আপনি সঠিক ভাবে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

১) ইক্যুইটি ফান্ড

২) ট্যাক্স-সেভিং ফান্ড

৩) অ্যাগ্রেসিভ গ্রোথ ফান্ড

৪) ক্যাপিটাল প্রোটেকশন ফান্ড

৫) ফিক্সড ম্যাচিওরিটি ফান্ড

৬) পেনশন ফান্ড

৭) ডেট ফান্ড

৮) মানি মার্কেট ফান্ড

৯) হাইব্রিড ফান্ড

১০) গ্রোথ ফান্ড

১১) ইনকাম ফান্ড

১২) লিক্যুইড ফান্ড

আপনার জন্যে সেরা মিউচুয়াল ফান্ড হতে পারে কোনটি?

১) ইক্যুইটি ফান্ড: ইক্যুইটি ফান্ড হল এমন একটি মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম, যা প্রধানত বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার /স্টকগুলিতে বিনিয়োগ করে। এগুলি গ্রোথ ফান্ড হিসেবেও পরিচিত। সাধারণ ভাবে অনলাইন মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। তবে ভাল দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের পরিকল্পনা করলে নির্দিষ্ট সময়ে এটি বেশ কার্যকরী হতে পারে।

২) ট্যাক্স-সেভিং ফান্ড: এই মিউচুয়াল ফান্ডে মাঝারি থেকে উচ্চ ঝুঁকি থাকতে পারে। তিন বছরের জন্যে এই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যায়। আয়কর আইনের ৮০ সি ধারার অধীনে কর-সঞ্চয়কারী মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়যোগ্য।

৩) অ্যাগ্রেসিভ গ্রোথ ফান্ড: যাঁরা দীর্ঘ সময়ের জন্য (সাধারণত পাঁচ বছর) বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন, তাঁদের জন্য এই ধরনের ফান্ড একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।

৪) ক্যাপিটাল প্রোটেকশন ফান্ড: যে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি নেওয়ার বিপক্ষে, তাঁদের জন্য এই ফান্ড আদর্শ। বাজার নিম্নমুখী থাকলে এই ফান্ড আপনার মূলধন সুরক্ষিত রাখে। যদিও বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলে অনেকটা লাভের সুযোগও নেই এতে। তবে এই ফান্ড একেবারে ঝুঁকি নিতে না চাওয়া লগ্নিকারীদেরও স্বল্প পরিমাণে ইক্যুইটিতে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়, যাতে তাঁরা বাজার ভাল থাকলে লাভের মুখ দেখতে পারেন।

৫) ফিক্সড ম্যাচিওরিটি ফান্ড: এই জাতীয় ফান্ড সাধারণত বিনিয়োগ করে সেই সব ঋণপত্রে, যাদের একই সময়ে ম্যাচিওরিটি হয়। তাই এই জাতীয় ফান্ডে টাকা লগ্নি করলে তা খানিকটা ফিক্সড ডিপোজিটের মতো আচরণ করে।

৬) পেনশন ফান্ড: কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড, সাধারণত পিএফ (প্রভিডেন্ট ফান্ড) নামে পরিচিত। এটি একটি অবসর বেনিফিট স্কিম, যার সুবিধা সমস্ত বেতনভোগী কর্মচারীরা পেতে পারেন। কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের অধীনে, কর্মচারী এবং পাশাপাশি নিয়োগকর্তা একটি ইপিএফ অ্যাকাউন্টে তাঁদের মূল বেতনের থেকে কিছু পরিমাণ (প্রায় ১২ শতাংশ) জমা করেন।

৭) ডেট ফান্ড: ডেট ফান্ড বা ঋণ তহবিল হল এক প্রকারের মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম যা ফিক্সড ইনকাম ইনস্ট্রুমেন্টগুলিতে বিনিয়োগ করে। যেমন কর্পোরেট ও সরকারি বন্ড, কর্পোরেট ডেট সিকিউরিটি, এবং মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্ট ইত্যাদি, যা মূলধনের যথাযথ মূল্যায়ন করে থাকে।

৮) মানি মার্কেট ফান্ড: একে সাধারণত স্বল্প মেয়াদী ফান্ড বলা হয়। এটি ডেট ইনস্ট্রুমেন্ট ট্রেজারি বিল, ডিপোজিট সার্টিফিকেট এবং বাণিজ্যিক নথিতে বিনিয়োগ করে। মূলত স্বল্প সময়ের জন্য করা হয় এই বিনিয়োগ।

৯) হাইব্রিড ফান্ড: হাইব্রিড ফান্ডগুলি সাধারণত ইক্যুইটি এবং ইক্যুইটি-সম্পর্কিত উপকরণে ৬৫ শতাংশ বা তার বেশি বিনিয়োগ করে। এগুলিতে ইক্যুইটি ফান্ডের মতো কর দেওয়া হবে। যাঁরা ইক্যুইটি এবং ইক্যুইটি-সম্পর্কিত উপকরণগুলিতে ৬৫ শতাংশের কম বিনিয়োগ করেন, তাদের ক্ষেত্রে ডেট ফান্ডের মতো কর দেওয়া হবে।

১০) গ্রোথ ফান্ড: যে বিনিয়োগকারীরা অতিরিক্ত ঝুঁকির বিনিময়ে দ্রুত লাভ করতে ইচ্ছুক, তাঁরা গ্রোথ ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। যাঁদের অতিরিক্ত অর্থ আছে এবং যাঁরা দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করতে চান, এই ফান্ড তাঁদের জন্য উপযোগী এক বিকল্প।

১১) ইনকাম ফান্ড: যাঁরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর কিছুটা করে আয় করতে চান, যেমনটা অবসর জীবনে বা কেরিয়ার শুরুর সময়ে প্রয়োজনীয়, এই ফান্ড তাঁদের জন্য আদর্শ। এতে লগ্নি করলে তা গোটা বিনিয়োগ কালেই নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে আপনাকে আয়ের সুযোগ করে দেবে।

১২) লিক্যুইড ফান্ড: এই ফান্ড ট্রেজারি বিল, কল মানি, বাণিজ্যিক নথির মতো মানি মার্কেটের ইনস্ট্রুমেন্টগুলিতে বিনিয়োগ করে। এতে বিনিয়োগকে কম ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। কারণ এই ফান্ড থেকে বেরিয়ে যেতে কোনও অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় না। বিনিয়োগকারীরা চাইলে যে কোনও সময়ে এই ফান্ড থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন।

‘টাকা টক্‌’-এর প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ড’।

প্রতিবেদক সঞ্চয় উপদেষ্টা। বক্তব্য নিজস্ব।

বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।

অন্য বিষয়গুলি:

Share Market Mutual Funds
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy