প্রতীকী ছবি।
হোয়াটস্যাপ এবং টেলিগ্রামের মতো জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপগুলো এখন আর সুরক্ষিত নয়। এমনটাই দাবি সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলির।
এত দিন মনে করা হত, ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’-এর জন্য এই দু’টি অ্যাপ যথেষ্ট নিরাপদ। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা সিমান্টেক সম্প্রতি দাবি করেছে, হোয়াটস্যাপ এবং টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে যে সব মিডিয়া ফাইল পাঠানো হয় সেগুলি ম্যালওয়ার সংক্রমণের শিকার।
ওই সংস্থার মতে, স্মার্টফোনে যখন ওই সব মিডিয়া ফাইলগুলো ঢোকে তখন ফোনে থাকা অন্যান্য ফাইল সংক্রমিত হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অ্যালান গট বলেন, ‘‘অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে দু’টি জায়গায় ডেটা স্টোর হয়— ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল। ইন্টারনাল স্টোরেজ নিরাপদ কারণ, এটি অ্যাপ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু এক্সটারনাল স্টোরেজ ইউজাররা স্বতন্ত্র ভাবে মডিফায়েড করেন, তাই এটি সুরক্ষিত নয় একেবারেই।’’
সিমান্টেক তাদের একটি ব্লগ পোস্টে লিখেছে, মিডিয়া ফাইলগুলি স্মার্টফোনে লোড হতে যতটা সময় নেয় তার মধ্যেই হ্যাকাররা তাদের ম্যালওয়্যার ওই ফোনে ছড়িয়ে দেয়। ফলে মোবাইলের অন্য মিডিয়া ফাইলগুলো একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের ব্যাখ্যা, এটা এক রকমের ঘোড়দৌড়। প্রথমে হ্যাকাররা ওত পেতে বসে থাকে কখন মিডিয়া ফাইল ফোনে ঢুকছে। তার পর তারা মিডিয়া ফাইলগুলো লোড হওয়ার ফাঁকেই তারা ম্যালওয়্যার দিয়ে সংক্রামিত করে ফোনকে। ফলে ইউজাররা কখনই আসল ফাইলগুলো দেখতে পান না। ফলে ম্যালওয়্যার শুধু গ্রহীতার ফোনেই নয়, যিনি ওই মিডিয়া ফাইল হোয়াটস্যাপ কিংবা টেলিগ্রামের মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন তাঁর অর্থাৎ প্রেরকের ফোনেও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘এজেন্ট স্মিথ’-এ আক্রান্ত ভারতের দেড় কোটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস
হ্যাকাররা শুধু মিডিয়া ফাইল অর্থাৎ ছবি, ভিডিয়ো, গান— সংক্রমিত করছে এমন নয়। অনেকেই ফোন থেকে নানা রকমের পেমেন্ট করেন। সেই তথ্য হাতিয়েও আর্থিক কারচুপিও করছে হ্যাকাররা। হোয়াটস্যাপ বা টেলিগ্রাম অ্যাপে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ পাঠানো হয়। ইউজারের সেই ভয়েস ব্যবহার করে হ্যাকাররা ভবিষ্যতে ব্যাঙ্ক লেনদেনের মতো অপরাধও করতে পারে। সিমান্টেকের বিশেষজ্ঞরা সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ওই সংস্থা জানিয়েছে, এই ধরনের সমস্যা বহু দিন আগেই তাদের নজর এসেছে। সমাধানসূত্র এখনও বার হয়নি। যত দিন না কোনও সমাধানসূত্র বার হচ্ছে, তত দিন কী করবেন গ্রাহকরা? সে পরামর্শও দিয়েছে ওই সংস্থা। তাদের মতে, যত দিন পর্যন্ত এই ত্রুটি ঠিক না হচ্ছে, তত দিন হোয়াটস্যাপ বা টেলিগ্রামে পাঠানো কোনও মিডিয়া ফাইল স্বয়ংক্রিয় ভাবে যাতে মোবাইলে সেভ না হয়ে যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মোবাইলের সেটিংসে গিয়ে সেই সংক্রান্ত পরিবর্তন করে নেওয়ার উচিত বলে জানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: হোয়াটস্অ্যাপে আসছে এই নতুন পাঁচটি ফিচার, দেখে নেওয়া যাক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy