ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন।
‘চন্দ্রযান-২’-এর ‘বিক্রম’ ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার বা নাসাকে কৃতিত্ব দিতে রাজি হল না ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন বললেন, ‘‘বিক্রমকে তো আমাদের চন্দ্রযান-২-এর অরবিটার আগেই দেখতে পেয়েছিল। সে কথা আমরা আগেই আমাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছি। পিছিয়ে গিয়ে দেখে নেওয়া যেতে পারে।’’
চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণের সময় নাসার মহাকাশযান ‘লুনার রিকনাইস্যান্স অরবিটার (এলআরও)’ দক্ষিণ মেরুতে বিক্রম ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষের ছবি তোলে। মঙ্গলবার সেগুলি প্রকাশ করে নাসা। ওই ছবিগুলি থেকে বিক্রমের ভেঙে পড়ার জায়গাটা খুঁজে বের করার জন্য চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার ষণ্মুগ সুব্রমনিয়নের কৃতিত্বকেও স্বীকৃতি দিয়েছে নাসা।
আরও পড়ুন
বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করলেন নাসার ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার
ইসরোর এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ভারতীয় বিজ্ঞানীদের একাংশ। সমালোচনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ফেসবুক টুইটারে। হোয়াটস্যাপের গ্রুপে গ্রুপেও ছড়িয়ে পড়ছে সমালোচনা। ‘‘এই মানসিকতা দেশের বিজ্ঞান সংস্থাগুলির প্রশাসনের পক্ষে আদর্শ নয়’’ বুধবার তাঁর টুইটে এমন মন্তব্য করেছেন এক বিজ্ঞানী। " " ' ? আরও পড়ুন বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করলেন নাসার ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার
আরও পড়ুন বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করলেন নাসার ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার
Amateur enthusiast spends hours searching for Vikram lander, finds it. NASA confirms it and credits him. ISRO dismissively says "we already did it". This is what is wrong with India and India's science admins. Why should ISRO feel threatened by an amateur?https://t.co/htYh5IeK3E
— Rahul Siddharthan (@rsidd120) December 4, 2019
ইসরোর এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ভারতীয় বিজ্ঞানীদের একাংশ। সমালোচনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ফেসবুক টুইটারে। হোয়াটস্যাপের গ্রুপে গ্রুপেও ছড়িয়ে পড়ছে সমালোচনা। ‘‘এই মানসিকতা দেশের বিজ্ঞান সংস্থাগুলির প্রশাসনের পক্ষে আদর্শ নয়’’ বুধবার তাঁর টুইটে এমন মন্তব্য করেছেন এক বিজ্ঞানী। " " ' ?
আরও পড়ুন- মঙ্গল মরে যায়নি? বাতাসে মিলল অক্সিজেন, বসন্তে বাড়ে, কমে যায় শীতে, গরমে
কিন্তু সুব্রমনিয়নের সেই কৃতিত্বকে স্বীকার করতে রাজি হল না তাঁর দেশেরই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
নাসার এলআরও মহাকাশযানের তোলা ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে, ভারতীয় সময় ৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে (রাত ১টা ৫৫ মিনিটে) অবতরণের সময় বিক্রম চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি ঠিক কোথায় গিয়ে ভেঙে পড়েছিল। আশপাশের যে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিক্রম ল্যান্ডারের যন্ত্রাংশ আর তার টুকরোটাকরাগুলি ছড়িয়ে রয়েছে, তার ছবিও তুলেছে এলআরও।
মহাকাশযানের তোলা গাদা গাদা ছবি দিয়ে নাসা আমজনতার কাছে বিক্রমের ভেঙে পড়ার জায়গাটা বেছে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল।
সুব্রমনিয়ন সেই সময় কার্যত ‘খড়ের গাদায় সূচ খোঁজা’র কাজটি করেছিলেন। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৩৪ মিটার উঁচু একটি জায়গায় প্রথমে আছড়ে পড়েছিল বিক্রম। সেখান থেকে ৭৫০ মিটার উত্তর-পশ্চিমে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করেন সুব্রমনিয়ন।
ইসরো চেয়ারম্যানের এ দিনের বক্তব্যের পর ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ওয়েবসাইট খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেখানে ১০ সেপ্টেম্বরের একটি পোস্টে ইসরো জানিয়েছে, ‘‘চন্দ্রযান-২-এর অরবিটার বিক্রমের হদিশ পেয়েছে। তবে বিক্রমের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি। ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য সব রকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy