Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Year End Special

‘অর্থহীন’ ২০২০! ‘অনর্থ’ হবে না কোভিডোত্তর বিশ্বে, আশায় একুশে পা

রাস্তায় খাওয়া, পথেই ঘুম, প্রাতঃকৃত্য। পর দিন আবার হাঁটা। কত জন যে বাড়ির পথে মারা গিয়েছিলেন, ভারত সরকারের কাছে নাকি তার হিসেবও নেই!

পরিযায়ীর প্রত্যাবর্তন: লকডাউনের পর পরিয়ায়ী শ্রমিকদের এমন দুর্দশার ছবিতে স্তম্ভিত হয়েছিল গোটা দেশ। ছবি: রয়টার্স

পরিযায়ীর প্রত্যাবর্তন: লকডাউনের পর পরিয়ায়ী শ্রমিকদের এমন দুর্দশার ছবিতে স্তম্ভিত হয়েছিল গোটা দেশ। ছবি: রয়টার্স

সমর বিশ্বাস
শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:০০
Share: Save:

মহাসড়ক, রেললাইন ধরে অন্তহীন গন্তব্যের পথে হেঁটে চলেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। পৃথিবীর ব্যস্ততম শহরও যানহীন, জনশূন্য। মল থেকে মিল, সমতল থেকে হিল, কলকাতা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, মুম্বই থেকে দুবাই— সর্বত্র এক ছবি। লকডাউন, আনলক পেরিয়ে, মাস্ক পরে, হাতে স্যানিটাইজার নিয়ে প্রায় একটা বছর করোনার সঙ্গে সহ-বাস করার পর ২০২০ সালটাকে মনে হচ্ছে যেন ব্যর্থ প্রথম প্রেমের মতো। ভুলতে চাই। কিন্তু পারছি কই।

সংক্রমণ শুরু হয়েছিল ২০২০-র গোড়া থেকে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে অর্থনীতির উপর করোনার প্রত্যক্ষ প্রভাব শুরু হল ২২ মার্চ থেকে। ওই দিন মধ্যরাত থেকে ভারতবর্ষের মাটিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আন্তর্জাতিক উড়ান। ৩ দিন পর থেকে শুরু হয়েছিল ‘সম্পূর্ণ লকডাউন’। কোনও বিশেষণ, কোনও মাপকাঠি বা বর্ণনাতেই সেই লকডাউনের প্রকৃত রূপ বোঝানো সম্ভব নয়। এত টুকরো টুকরো উপাখ্যান, যে সেগুলো যোগ করলে কয়েকটা রামায়ণ-মহাভারত হয়ে যাবে। সুনসান পথঘাট, ঘরবন্দি মানুষ, হাসপাতালে হাসপাতালে লাশের স্তূপ, মৃত্যুর পরেও দেখা করা যাবে না প্রিয়জনের সঙ্গে— এ সব তো ছিলই। কিন্তু সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যে চিত্রটা রাস্তায় নেমে এসেছিল, সেটা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার দৃশ্য। হাজারে হাজারে, লাখে লাখে মানুষ হেঁটে, সাইকেলে বাড়ি ফিরছেন। রাস্তায় খাওয়া, পথেই ঘুম, প্রাতঃকৃত্য। পর দিন আবার হাঁটা। কত জন যে বাড়ির পথে মারা গিয়েছিলেন, ভারত সরকারের কাছে নাকি তার হিসেবও নেই!

এই চিত্রই বুঝিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় অর্থনীতির অসংগঠিত চেহারা। অসংগঠিত ক্ষেত্রই যে ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড, সেই কঙ্কালসার সত্যিটা সে দিন ছাইচাপা আগুন থেকে হঠাৎ দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছিল। হিসেব বলছে, প্রায় ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক তথা অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক কাজ হারিয়েছিলেন লকডাউনে। লকডাউন জারি রেখেও ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু হয়েছিল জুনের শেষে। তার আগে টানা ৬৮ দিন চলেছিল লকডাউন। পরিংসখ্যান বলছে, ৮ ডিসেম্বর কৃষকদের ডাকা ভারত বন্‌ধে ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। তার আগে ২৬ নভেম্বর শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা দেশজোড়া ধর্মঘটে ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। কোনও ক্ষেত্রেই ‘সর্বাত্মক বন্‌ধ’ হয়নি। অনেক রাজ্যে, অনেক শহরে তেমন প্রভাবও পড়েনি। তাতেই এত বিপুল ক্ষতি! ৬৮ দিনের লকডাউনে অর্থনীতির ক্ষত কতটা গভীর হতে পারে, এর থেকেই অনুমেয়।

পরিসংখ্যান কী বলছে?

একটি সমীক্ষা বলছে, লকডাউনেকাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে ৮৩.১ শতাংশ মানুষ কাজ ফিরে পাননি। খাদ্যসঙ্কটে পড়েছেন ৮০.৮ শতাংশ মানুষ। ঘরে ফিরতে পারেননি ৪৭.৮ শতাংশ, অসুস্থ হয়েছেন ১৫.১ শতাংশ। সমস্যা এড়াতে পেরেছেন মাত্র ২.৪ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা দেশবাসী স্বচক্ষে দেখেছিলেন। কিন্তু কার্যত আমজনতার অলক্ষ্যে লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছিল পর্যটন এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্র। ঘটনাচক্রে, পর্যটন ক্ষেত্রে অসংগঠিত শ্রমিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হোটেল, রেস্তরাঁ শিল্প। জুন মাস পর্যন্ত একটি পরিসংখ্যানবলেছিল, অংসগঠিত শ্রমিক এবং স্ব-রোজগার বাদ দিয়ে এই শিল্পে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ। অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে বহু সংস্থা। দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান পরিবহণ ‘অ্যাভিয়াঙ্কা হোল্ডিংস’, ব্রিটেনের ‘ফ্লাইবি’, আলাস্কার সবচেয়ে বড় সংস্থা ‘রাভনেয়ার’, সেন্ট লুইসের ‘ট্রান্স স্টেট এয়ারলাইন্স’, সুইডেনের ‘ব্রা’ ছাড়াও ‘ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া’, ‘মিয়ামি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল’-এর মতো বহু বিমান পরিবহণ সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে করোনাকালে। ভারতীয় সংস্থা ‘ডেকান চার্টার্স’ কোভিডের সময় অপারেশন বন্ধ করে এখনও পর্যন্ত তা শুরু করতে করেনি। জনশ্রুতি, দেউলিয়া হওয়ার পথে এই সংস্থাও। এ ছাড়া উৎপাদন থেকে পরিষেবা, খুচরো বিপণী শৃঙ্খল থেকে ছোট দোকানদার, ট্রেনের হকার থেকে ফুটপাতের ব্যবসায়ী— কোনও ক্ষেত্রই করোনার ছোবল থেকে মুক্ত হতে পারেনি। ব্যক্তিগত ভাবে এক জন ভারতবাসী বা বিশ্ববাসীকেও হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি কোভিডের কারণে আর্থিক সমস্যায় পড়েননি।

অবতরণ: দীর্ঘ লকডাউনে মুখ থুবড়ে পড়েছিল অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্র। ছবি: পিটিআই

ভারতীয় অর্থনীতি অবশ্য করোনার আগে থেকেই ধুঁকছিল। জিডিপি ঋণাত্মক বা সঙ্কোচন অর্থাৎ মন্দা না হলেও নিম্নগতিতে ছিল। বেকারত্বের হার নেমে গিয়েছিল ৪৫ বছরের সর্বনিম্ন হারে। ধুঁকছিল উৎপাদন ক্ষেত্র। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন ‘ঝিমুনি’। করোনা এসে মরার উপর খাঁড়ার ঘা দিয়েছে। যেন খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা কাউকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল কয়েক হাজার ফুট নীচের গিরিখাতে। মৃত্যু হয়নি। প্রাণটা কোনওরকমে ছিল। মাস তিনেক প্রায় সংজ্ঞাহীন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে পাহাড়ি চড়াই-উতরাই বেয়ে উপরে উঠে আসার চেষ্টা। তবে আবার কবে আগের অবস্থা ফিরে আসবে, তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতেও ভয় পাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

এই ধরনের বিপর্যয় এবং তা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোকে চারটি ইংরেজি বর্ণ দিয়ে ভাগ করেন অর্থনীতিবিদরা— ভি (V), ইউ (U), ডব্লিউ (W) এবং এল (L)। অক্ষরগুলির আকৃতি দেখেই অর্থনীতির উত্থান-পতন বোঝা যায়। ভি-এর ক্ষেত্রে কিছুটা ধীরে পতন এবং একই গতিতে উত্থান। ইউ-এর অর্থ দ্রুত পতনের পর দীর্ঘদিন সেই অবস্থায় থাকা এবং দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী। ডব্লিউ অর্থাৎ গ্রাফ একই ভাবে বারবার ওঠানামা এবং এল-এর ক্ষেত্রে দ্রুত পতন এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হওয়া। ২০২০-র ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভারত এবং গোটা বিশ্বের অর্থনীতির এই উত্থান-পতনকে ‘ভি’-এর আকারের বলে ব্যাখ্যা করছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে ভারত-সহ বেশ কিছু দেশে বৃদ্ধির গ্রাফ কিন্তু ডব্লিউ-এর আকারও হতে পারে। অর্থাৎ দ্বিতীয়বার ফের বড়সড় নিম্নগতি আসতে পারে। ভারতের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা বেশি। কারণ, করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই ছিল অর্থনীতির ঝিমুনি।

বাজার বিশেষজ্ঞরা বলেন, অর্থনীতির ওঠাপড়া আগেভাগে আঁচ করতে পারে শেয়ার বাজার। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে যখন ব্রিটেন, ফ্রান্স একের পর এক দেশ লকডাউন ঘোষণা করছিল, শেয়ারবাজারে ধস নামতে শুরু করেছিল তখন থেকেই। সারা বিশ্বের সূচকের গড় পতন ছিল ২০ শতাংশের মতো। ভারতের ক্ষেত্রে তা ছিল ৩৫ শতাংশেরও বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারে সর্বকালীন পতন হয়েছিল অপরিশোধিত তেলের দামে। লকডাউনের এক একটা দিন লগ্নিকারীদের পুঁজি যেন হাওয়ায় উবে যাচ্ছিল।

তবে শেয়ার বাজার আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নিতান্ত সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা ভারতবাসীই লকডাউনের শেষে আবার বাজারমুখী। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। মানুষের হাতে টাকা আসতে শুরু করেছে। ভিড় বাড়ছে শপিং মল, দোকানে। চাহিদা বাড়ছে, বাড়ছে উৎপাদন। অতএব অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী। এপ্রিল-জুন প্রথম ত্রৈমাসিকে যেখানে জিডিপি সঙ্কুচিত হয়েছিল মাইনাস ২৩.৯ শতাংশ। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সেই সঙ্কোচন অনেকটাই কমেছে (মাইনাস ৭.৫%)। পরের ত্রৈমাসিকে এই হার আরও ভাল জায়গায় থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, যা আশা করা গিয়েছিল, তার চেয়েও দ্রুতগতিতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছিল, ২০২০-২১অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি সঙ্কোচনের হার বা মন্দা হতে পারে ৯.৫ শতাংশ। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের পর এই পূর্বাভাস কমিয়ে করেছে মাইনাস ৭.৫। সেনসেক্স-নিফটিও কোভিডের আগের জায়গায় তো ফিরেছেই, তার চেয়ে অনেক উপরে উঠে প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে।

তবে কি কোভিডের ধাক্কা শুধু ২০২০-র কয়েকটা মাসেই সীমাবদ্ধ? কোভিডোত্তর যুগে প্রবেশ করে গিয়েছি আমরা? অন্তত অর্থনীতির দিক থেকে? অর্থনীতিবিদরা কিন্তু এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তাঁদের মতে, অর্থনীতিতে কোভিডের এই ক্ষত কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী এবং গভীর। সেখান থেকে সহজে পরিত্রাণের উপায় নেই। জেল থেকে ছাড়া পেলে যেমন মুক্তির প্রকৃত স্বাদ বা তাৎপর্য বোঝা যায়, তেমনই দীর্ঘ লকডাউনের পর তাৎক্ষণিক কিছু চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে কিছুটা গতি এসেছে বটে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী মেয়াদে সেটা ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ।

লকডাউন: এই ছবি পেরিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। ছবি: পিটিআই

আমরা চাইলেও ইতিহাস ভুলতে পারবে না ‘অর্থহীন’ ২০২০। যখনই অর্থনীতিতে ধাক্কা আসবে, তুলনা আসবে এই বছরের। শেয়ার মার্কেটে কয়েক দিনে কার কত টাকা উবে গিয়েছিল, রাতারাতি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোন শিল্পে লোকসানের বহর কত বেড়েছিল— সব উঠে আসবে আলোচনায়। ইতিহাস ভুলতে পারবে না, রাজপথে পরিযায়ীর পদযাত্রা, রেললাইনে ঘুমিয়ে থাকা শ্রমিকদের পিষে দিয়ে মালগাড়ি চলে যাওয়া। সরকার হিসেব রাখুক না রাখুক, ইতিহাসবিদের কলম এড়াতে পারবে না কয়েকশো কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিয়ে বাড়ির কাছে এসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া সেই ছেলেটার কথা।

এখন যেমন ১৯২৯-এর ‘মহামন্দা’ কিংবা ২০০৮-’০৯-এর ‘রিসেশন’-এর সঙ্গে তুলনা হচ্ছে কোভিডের, ভবিষ্যতে বড় কোনও আর্থিক সঙ্কটময় পরিস্থিতি এলেই তুলনায় চলে আসবে এই ‘সংক্রমিত’-২০২০’ সালের কথা। চাইব না, আবার ফিরে আসুক এমন কোনও ক্ষত। নবারুণ ভট্টাচার্যের মতো হয়তো কেউ লিখবেন, ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’, এই বিষ-জীবাণুর উল্লাস মঞ্চ আমার দেশ না, এই কর্মহীনতা আমার দেশ না, এই অর্থহীনতা আমার দেশ না।তবু অর্থনীতিতে, পরিসংখ্যান— এ সবের আলোচনায় বার বার ফিরে আসবে ২০২০।

অযান্ত্রিক: ফের চালু হলেও কলকারখানা বন্ধের এই ছবি কি ভোলা যাবে?

১৯২৯-এর ‘গ্রেট ডিপ্রেশন’ বা মহামন্দার সময় বিখ্যাত মার্কিন ব্যাঙ্কার আর্থার ডব্লিউ লোয়াসবি বলেছিলেন, ‘‘ আমার আর কোনও ভয় নেই, কারণ এর (গ্রেট ডিপ্রেশন) সঙ্গে তুলনা করা চলে এমন কোনও পতন আর হবে না।’’ আপাতত সেই আশাতেই ২০২০ পার করে নয়া ইংরেজি বছরে পদার্পণ দেশের। বিশ্বের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy