Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Viral

দু’টি কিডনিই খারাপ, কন্যা সন্তান বলে বাবা-মা কেউ কিডনি দিতে রাজি নন

মেয়েকে বাঁচাতে তার বাবা-মা কেউই কিডনি দান করতে রাজি নন। তার চিকিত্সাও প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন না হলে কাঞ্চনের মৃত্যুও অসম্ভব নয়

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ১৮:০৯
Share: Save:

সন্তানকে কিডনি দান করতে রাজি নন বাবা মা। কারণ সে মেয়ে। ফলে দিন দিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলছে বিহারের কাঞ্চন কুমারী। এই কিশোরীর দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিডনি দান করাতো দূরের কথা, তার বাবা-মা চিকিত্সা এগিয়ে নিয়ে যেতেই কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।

বিহারে শেখপুরা জেলার অভগিল গ্রামের মেয়ে কাঞ্চন কুমারী। সম্প্রতি গ্রামের সরকারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষা পাশ করেছে। পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করার আনন্দে ভাসছিল সে। কিন্তু সেই আনন্দ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিন পরেই অসুস্থ অবস্থায় তাকে পটনার ইন্দিরা গাঁধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (আইজিআইএমএস)-এ ভর্তি করানো হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে তার কোনও কিডনিই কাজ করছে না।

কাঞ্চনের পারিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তাই পটনা থেকে শেখপুরের সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয় তাকে। সেখানেই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েকে বাঁচাতে তার বাবা-মা কেউই কিডনি দান করতে রাজি নন। তার চিকিত্সাও প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন না হলে কাঞ্চনের মৃত্যুও অসম্ভব নয়।

আরও পড়ুন : তিনি পাণ্ড্যর প্রাক্তন নন, জানিয়ে দিলেন উর্বশী

আরও পড়ুন : ছিলেন স্কুল শিক্ষক, এখন কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক

কাঞ্চনের বাবা রামেশ্বর যাদবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কে কিডনি দেবে ওকে? ও যে মেয়ে”। কাঞ্চনের মায়ের বক্তব্যও একই।

সব থেকে অবাক করার বিষয় হল, কাঞ্চনের বাবা-মা মেয়েকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে কোনও আবেদন করার আগ্রহও দেখাননি। মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে অনেক সময় এই সব ক্ষেত্রেও সাহায্য মেলে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই সাহায্য পাওয়ার চেষ্টাও করা হয়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Viral Parents Bihar Patna Daughter Kidney
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy