চিনকে ঠেকাতে ভারতের পরিকল্পনায় সায় আমেরিকার— ফাইল চিত্র।
চিনকে চাপে রাখতে এবার মালাবার নৌ-মহড়ায় অস্ট্রেলিয়াকেও চাইছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা হয়েছে। মিলেছে সমর্থনের ইঙ্গিতও। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। নয়াদিল্লির যুক্তি, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক স্বার্থেই অস্ট্রেলিয়াকে এই নৌ-মহড়ায় সামিল করা প্রয়োজন।
সম্প্রতি মার্কিন সেনেটের একটি কমিটির বৈঠকে আমেরিকার উপ বিদেশসচিব স্টিভেন বাইগান বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মালাবারের মতো নৌ-মহড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনী এই মহড়ায় যোগ দিলে অংশগ্রহণকারী দেশগুলির কাছে তা লাভজনক হবে।’’ ‘চিন সম্পর্কিত মার্কিন নীতি’ বিষয়ক ওই বৈঠকে স্টিভেন জানান, ভারতের তরফে মালাবার নৌ-মহড়ায় যোগ দেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
২০০২ সালে প্রথম ভারত মহাসাগরে ভারত ও আমেরিকার নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরে মালাবার বার্ষিক নৌ-মহ়ড়া শুরু করেছিল। তার আগে ১৯৯২ সাল থেকেই ধারাবাহিক ভাবে যৌথ যুদ্ধ-মহড়া অনুশীলন করেছে ভারও ও মার্কিন নৌবহর। ২০০৭ সালে প্রথম বার ভারত মহাসাগরের সীমার বাইরে জাপানের ওকিনাওয়া উপকূলে এই বার্ষিক সমুদ্র-যুদ্ধাভ্যাস পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে মালাবার মহড়ায় সামিল হয় জাপান।
আরও পড়ুন: সরেনি চিনা সেনা, কিছুই বদলায়নি পরিস্থিতি, দাবি লাদাখি ধর্মগুরুর
গালওয়ান পরবর্তী পরিস্থিতিতে দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিং বিরোধী তৎপরতায় সামিল হয়েছে তাইওয়ান, ফিলিপিন্স-সহ নানা দেশ। মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের মতোও দেশও চিনের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সামিল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রস্তাব মেনে অস্ট্রেলিয়ার নৌবহর মালাবার মহড়ায় সামিল হলে চিনের উপর চাপ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। ওই বৈঠকে স্টিভেন জানিয়েছেন, আমেরিকার পাশাপাশি তার মিত্র দেশগুলির স্বার্থ রক্ষা করাও ওয়াশিংটনের দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লক্ষ ছাড়াল, মৃত্যু পেরলো ৩১ হাজার
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনকে ঠেকাতে চতুর্ভুজ পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে। যৌথ কৌশলগত ও সামরিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের একটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয় সে সময়। চলতি বছরের গোড়ায় ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীর উপস্থিতির একটি ঘটনা সামনে আসে। নয়াদিল্লির এই চতুর্ভুজ-উদ্যোগের পিছনে পিপলস লিবারেশন আর্মির এমন তৎপরতাকে বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। স্টিভেনের কথায়, ‘‘এশিয়ার ওই অঞ্চলে চারটি দেশের সমঝোতা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy