—প্রতীকী চিত্র।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। ড্রাগস কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-এর সবুজ সঙ্কেতের পর টিকা কবে, কী ভাবে পাওয়া যাবে সে সব প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। সেই সব প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
টিকা নিয়ে প্রশ্ন-স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উত্তর
করোনারা টিকা কি সাধারণ মানুষের কাছে খুব শীঘ্রই পৌঁছবে?
• যে সব গোষ্ঠীর সদস্যদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
• স্বাস্থ্য ক্ষেত্র এবং করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা সম্মুখ-সমর চালাচ্ছেন তাঁদের অগ্রাধিকার।
• দ্বিতীয় ধাপে টিকা দেওয়া হবে ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক, কোমর্বিডিটি আছে এমন ব্যক্তিদের।
• এর পর যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের ওই টিকা দেওয়া হবে।
সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে এই টিকা তৈরি, তা কি নিরাপদ?
নিরাপদ এবং কার্যকারিতার দিকটি মাথায় রেখেই টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
টিকা নেওয়া কি বাধ্যতামূলক?
করোনার টিকা বাধ্যতামূলক নয়। তবে নিজেকে রক্ষা করতে এবং করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে ওই টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড টিকা বিক্রির জন্য তৈরি সেরাম, সাধারণের জন্য দাম হতে পারে ১০০০ টাকা
আরও পড়ুন: মজুতের বরাত আদানিকেই, সরব কংগ্রেস
করোনা থেকে সেরে উঠলে কি টিকা নেওয়া প্রয়োজন?
করোনা থেকে সেরে উঠলেও টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ ওই টিকা শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে।
করোনা সংক্রমিত এমন ব্যক্তিকে কি টিকা দেওয়া যাবে?
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ চলে যাওয়ার ১৪ দিন পর টিকাকরণ হওয়া উচিত।
করোনার অনেক টিকা রয়েছে। কী ভাবে নির্দিষ্ট কয়েকটি টিকা বাছাই করা হল?
ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়ে করোনার টিকার নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা খতিয়ে দেখেছে ডিসিজিআই। তার ভিত্তিতেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য দেশে যে টিকা দেওয়া হয়েছে তা কি ভারতে কার্যকর হবে?
ভারতে করোনার যে টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে তা অন্যান্য দেশের মতো সমান কার্যকর হবে।
টিকা গ্রহণের জন্য যোগ্য কি না তা কী ভাবে জানা যাবে?
রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে টিকা গ্রহণকারীকে জানানো হবে।
টিকা নেওয়া জন্য কী কী নথি প্রয়োজন?
• রেজিস্ট্রেশনের জন্য আধার/ড্রাইভিং লাইসেন্স/ভোটার আইডি/প্যান কার্ড/পাসপোর্ট/জব কার্ড বা পেনশনের নথি প্রয়োজন।
• শ্রম মন্ত্রকের দেওয়া হেল্থ ইনসিওর্যান্স স্মার্ট কার্ড।
• ১০০ দিনের জব কার্ড।
• সাংসদ বা বিধায়কদের দেওয়া পরিচয়পত্র।
• ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসের পাস বই।
• কেন্দ্র, রাজ্য বা বেসরকারি অফিসের দেওয়া পরিচয়পত্র।
• অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের পর এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে টিকার দিনক্ষণ এবং জায়গা।
• টিকাকরণের পর দেওয়া হবে কিউআর কোডযুক্ত শংসাপত্রও।
স্বাস্থ্য দফতরের রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কি কেউ টিকা পেতে পারেন?
টিকা পেতে গেলে স্বাস্থ্য দফতরে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।
রেজিস্ট্রেশনের সময় সচিত্র পরিচয়পত্র না দেখাতে পারলে কি টিকাকরণ হবে?
টিকাকরণের জন্য সচিত্র পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক।
টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কী কী?
অল্প জ্বর, সামান্য যন্ত্রণা ইত্যাদি উপসর্গ হবে পারে।
ক্যানসার, ডায়াবেটিক বা হাইপারটেনশনের রোগীরা কি করোনার টিকা নিতে পারেন?
ওই সব রোগে আক্রান্তরা করোনার টিকা নিতে পারেন।
টিকার কতগুলি ডোজ নিতে হবে?
২৮ দিনের ব্যবধানে করোনার টিকার দু’টি ডোজ নিতে হবে।
টিকা নেওয়ার কত দিন পর অ্যান্টিবডি তৈরি হবে?
করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর সাধারণত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy