সুপ্রিম কোর্টে দোষী সাব্যস্ত প্রশান্ত ভূষণ। —ফাইল চিত্র
আদালত অবমাননার মামলায় বর্ষীয়ান আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে দোষী সাব্যস্ত করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২০ অগস্ট তাঁর শাস্তি ঘোষণা করবে শীর্ষ আদালত। আজ শুক্রবার প্রশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির তিন সদস্যের বেঞ্চ।
দেশের শেষ চার প্রধান বিচারপতির ভূমিকা নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। অন্য টুইটটি ছিল বর্তমান প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডেকে নিয়ে। তিনি একটি সুপারবাইকে বসেছিলেন। কিন্তু মাথায় কেন হেলমেট নেই, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। যদিও ওই সময় বাইকটি দাঁড় করানো ছিল। পরে অবশ্য দ্বিতীয় টুইটটির জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। বলেছিলেন, বাইকটি যে দাঁড় করানো ছিল, সেটি তিনি খেয়াল করেননি।
কিন্তু প্রধান বিচারপতিদের নিয়ে যে টুইট করেছিলেন, সেখান থেকে সরে আসেননি প্রশান্ত ভূষণ। এ ক্ষেত্রে সংবিধানের ১৯ (১) (এ) ধারায় বাক স্বাধীনতার অধিকারের যুক্তি দেন তিনি। গত ৩ অগস্ট আদালতে হলফনামা দিয়ে তিনি বলেন, টুইটের একটি অংশের জন্য তিনি দুঃখিত। তবে অন্য অংশের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য ছিল, শীর্ষ বিচারপতিদের সমালোচনা আদালতের মর্যাদা হানি করে না অথবা তার কর্তৃত্ব খর্ব করে না। ভূষণের আরও যুক্তি ছিল, আদালতের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করা তাঁর বাক স্বাধীনতার অধিকারের মধ্যে পড়ে এবং এটা বিচারব্যবস্থাকে বাধা দেওয়ার জন্য আদালত অবমাননার পর্যায়ে পড়ে না। অবমাননার মামলায় শুনানিতেও তাঁর আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভেও একই রকম যুক্তি দেন।
আরও পড়ুন: আরও কমল সংক্রমণ হার, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১০০৭ জনের
আরও পড়ুন: শ্রীনগরে কনভয়ে জঙ্গি হানা, মৃত্যু ২ পুলিশকর্মীর
গত ২২ জুলাই আদালত তাঁকে শো-কজ নোটিস ধরিয়েছিল। তার পাল্টা হিসেবে সুপ্রিম কোর্টেই মামলা দায়ের করে ওই শো-কজ নোটিস তুলে নেওয়ার আর্জি জানান প্রশান্ত। তাঁর যুক্তি ছিল, তাঁর মন্তব্য বিচারপতিদের ব্যক্তিগত জীবনের কাজকর্ম নিয়ে। তাই ওই টুইট আদালত অবমাননার পর্যায়ে পড়ে না। কারও বিরুদ্ধে সরব হওয়া, ঐক্যমত্য না হওয়া বা দ্বিমত পোষণ করার জেরে আদালত অবমাননার মামলা হতে পারে না বলেও তাঁর দাবি ছিল। কিন্তু তাতেও আদালত অবমাননার মামলা আটকাতে পারেননি বর্ষীয়ান আইনজীবী। আর সেই মামলাতেই এ দিন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy