কলেজের গেটে ‘কুর্তি পরীক্ষা’! ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
কলেজের মূল ফটক। সেখানে এসে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন ছাত্রীরা। তাঁদের সকলের পরনেই রয়েছে কুর্তি। কিন্তু কলেজ পৌঁছে গেলেও ভিতরে ঢুকতে পারছেন না তাঁরা। কারণ, তাঁদের পথ আটকে দাঁড়িয়ে আছেন শাড়ি পরিহিত এক মহিলা। তিনি কলেজের নিরাপত্তা রক্ষী। কলেজের নির্দেশিকা অনুসারে, দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রীদের পোশাক মিলিয়ে দেখছেন তিনি। যে সকল ছাত্রীর কুর্তির দৈর্ঘ্য হাঁটুর নীচ অবধি তারাই পাচ্ছেন ক্লাস করতে যাওয়ার অনুমতি। কুর্তির ঝুল হাঁটুর উপরে হলে ক্লাসে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না ছাত্রীরা।
এ রকমই ঘটনা সাম্প্রতিককালে নিয়মিত ঘটছে হায়দরাবাদের সেন্ট ফ্রান্সিস কলেজে। আর সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনাও।
হায়দরাবাদের ওই কলেজের তরফে গত জুলাইয়ে জারি করা হয় একটি নির্দেশিকা। সেখানে বলা হয়, কলেজে আসা ছাত্রীদের কুর্তির ঝুল হাঁটুর নীচ অবধি হতে হবে। শুধু তাই নয়, সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, স্লিভলেস, শর্টস ও ওই জাতীয় সমস্ত পোশাক কলেজ চত্বরে নিষিদ্ধ। গত অগস্ট থেকে সেই নির্দেশিকা কার্যকর হয় কলেজে। তার পর থেকে কলেজের গেটে ‘পোশাকের পরীক্ষায়’ উত্তীর্ণ হয়ে, তবেই ক্লাসে যেতে পারছেন ছাত্রীরা। বিযয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাতে গেলে ছাত্রীদের এক শিক্ষক নাকি বলেছেন, ‘‘লং কুর্তি পরলে তবেই ভাল বিয়ের প্রস্তাব পাওয়া যায়।’’
তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ ছড়িয়েছে কলেজের বর্তমান ছাত্রী ও প্রাক্তনীদের মধ্যে। নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে বিষয়টি নিয়ে সরব হচ্ছেন তাঁরা। যেমন, জানোবিয়া তুম্বি নামের এক প্রাক্তনী, পোশাক পরীক্ষার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেই পোস্ট করে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদের জন্য তিনি বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রীদের আজ, সোমবার কলেজের গেটের বাইরে জড়ো হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হিন্দি নিয়ে জল মাপছে বিজেপি, ৩৭০ কৌশলের ছায়া দেখছেন বিরোধীরা
আরও পড়ুন: কাজের ‘অভাব নেই’ বলে মন্ত্রী বিরোধী নিশানায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy