Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Karachi Sweets

‘করাচি’ নামে আপত্তি, পরিবর্তনের হুমকি দিয়ে বিতর্কে শিবসেনা নেতা

বুধবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা থেকে শিবসেনায় আসা নিতিন নন্দগাঁওকর।

দীর্ঘদিনের এই দোকানের নাম বদলানোর দাবি তুলেছেন শিবসেনা নেতা।

দীর্ঘদিনের এই দোকানের নাম বদলানোর দাবি তুলেছেন শিবসেনা নেতা।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২০ ২০:২৫
Share: Save:

‘করাচি’ ভারতে! মুম্বইয়ের করাচি বেকারির নাম নিয়েই যত গন্ডগোল। বেকারির মালিককে ওই নাম বদলে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন এক শিবসেনা নেতা। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই চাপে পড়ে যায় দল। পরিস্থিতি এমন দিকে মোড় নেয় যে শিবসেনাকে বিবৃতি দিতে হয়, যা ঘটেছে তা দলের অবস্থান নয়।

বুধবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা থেকে শিবসেনায় আসা নিতিন নন্দগাঁওকর। তাঁর আপত্তি মুম্বইয়ের বান্দ্রা ওয়েস্টের বিখ্যাত ‘করাচি বেকারি’ এবং ‘করাচি সুইটস’ নাম নিয়ে। ভিডিয়োয় শোনা গিয়েছে, নিতিন ওই বেকারির মালিককে মরাঠিতে বলছেন, ‘‘আমরা করাচি শব্দটা ঘৃণা করি। এটা পাকিস্তানে জঙ্গিদের আস্তানা। তাই আপনাকে এই নাম বদলে ফেলতে হবে। জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের সেনা মারা যাচ্ছে। তাই মুম্বই এবং মহারাষ্ট্রের বুকে এই নাম রাখা চলবে না। আপনি আপনার পরিবারের নাম রাখুন, কিন্তু করাচি নয়। আমরা আপনাকে ১৫ দিন সময় দিচ্ছি।’’

শিবসেনা নেতার এই ‘দাদাগিরি’র ভিডিয়ো মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। তা নিয়ে প্রশ্নও উঠতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সংবাদ সংস্থা এএনআই বলছে, নিতিনের হুমকির মুখে পড়ে সাময়িক ভাবে ‘করাচি’ শব্দটি ঢেকে দেন বেকারি মালিক। বিতর্ক দানা বাঁধতেই এই প্রশ্নে নিতিনের থেকে দূরত্ব বজার রাখতে শুরু করেছে শিবসেনা। দলের মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘গত ৬০ বছর ধরে মুম্বইয়ে রয়েছে করাচি বেকারি এবং করাচি সুইটস। এর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও যোগ নেই। ওই বেকারির নাম পরিবর্তনের কথা বলার কোনও অর্থই হয় না। এই নাম বদলানোর কথা বলা শিবসেনার দলীয় অবস্থান নয়।’’

আরও পড়ুন: শপথের ৩ দিন পরেই ইস্তফা দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর

আরও পড়ুন: আমেরিকা-ভারত প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন করতে উদ্যত চিন, দাবি নথিতে

অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগে ২০০৯ সালে ওই বেকারির নাম নিয়ে আপত্তি তুলেছিল এমএনএস। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এ নিয়ে দল চিঠিও লিখেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। এমনকি বেকারি মালিককে পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিসও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE