সাক্ষী। ফাইল চিত্র।
শুধু ভিন জাতে বিয়ে করেই সাক্ষী মিশ্র বাবার বিরাগভাজন হননি। পিতৃগৃহে তিনি ছোট থেকেই লিঙ্গবৈষম্যের শিকার, একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষী নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।
বরেলীর বিজেপি বিধায়কের মেয়ে সাক্ষী মিশ্র গত কয়েক দিন ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে রয়েছেন। দলিত ছেলেকে বিয়ে করায় বাবা ওঁদের মেরে ফেলতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন ওঁরা। সোমবার ইলাহাবাদ হাইকোর্ট চত্বরে সাক্ষীর স্বামীর উপরে হামলাও হয়েছে। আদালত এখন ওঁদের পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
টিভিতে সাক্ষী বলেছেন, তথাকথিত নিম্নবর্ণের ছেলেকে বিয়ে করা থেকেই যে সব সমস্যার শুরু, তা নয়। কন্যাসন্তান হিসেবে সমানাধিকার তিনি কোনও দিনই বাপের বাড়িতে পাননি। সাক্ষীর কথায়, ‘‘আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। আমি আরও পড়াশোনা করতে চেয়েছিলাম।’’ কিন্তু পছন্দের বিষয় বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা তাঁর ছিল না। জোর করে তাঁকে এমন একটি কলেজে মাস কমিউনিকেশন পড়তে পাঠানো হয়, যেখানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ। মাস কমিউনিকেশন পড়েও যে তিনি পছন্দ মতো চাকরি করবেন, অনুমতি মেলেনি তারও। সাক্ষী জানাচ্ছেন, বাড়ির বাইরে চাকরি করায় আপত্তি দেখে তিনি এমনকি এও বলেছিলেন, তাঁকে বিধায়ক বাবার অফিসে কাজ করতে দেওয়া হোক! সারাদিন কত লোকজন আসেন, তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনার সুযোগ দেওয়া হোক! সাক্ষীর ভাই ভিকি সে কাজগুলো করেন। কিন্তু সাক্ষীকে সে অধিকার দেওয়া হয়নি। সাক্ষীর আক্ষেপ, বাবা তাঁকে কখনও গুরুত্বই দেননি। ভাই যা কিছু স্বাধীনতা পেয়েছে, তিনি তার কিছুই পাননি শুধু মেয়ে বলেই। সাক্ষী চেষ্টা করেছিলেন বাবাকে বোঝাতে। বলেছিলেন, ‘‘শুধু মেয়েদের দ্বারাই পরিবারের অসম্মান হয় না, ছেলেদের থেকেও হয়!’’
কিন্তু মেয়ের কথা যে বাবা শোনেননি, সেটা সাক্ষীর বিয়েকে কেন্দ্র করে জটিলতাতেই স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy