ফাইল চিত্র।
প্রবল জনমত নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার ফের ক্ষমতায় বসার পরেই শিক্ষায় গেরুয়া ছাপ ফেলতে আরও সক্রিয় হল আরএসএস।
ক’দিন আগেই আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা ‘শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস’ রাজধানী দিল্লিতে দু’দিনের কর্মশালার আয়োজন করে। যেখানে খোদ সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন মোদী সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। সেই সম্মেলনের পর আজ সংস্থার তরফে জানানো হয়, নতুন শিক্ষা নীতিতে তাদের পক্ষ থেকে অনেক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেমন ছাত্রদের ‘যৌন শিক্ষা’ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। গোটা দেশে সর্বভারতীয় স্তরে গুরুকুলের মতো বৈদিক শিক্ষার বোর্ড গঠন করতে হবে। পাশাপাশিই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রথমে হিন্দি অথবা স্থানীয় ভাষায় করে তার পর সেটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে।
সংস্থার জাতীয় সচিব অতুল কোঠারি বলেন, ‘‘বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্ন ইংরেজিতে করায় হিন্দি বা স্থানীয় ভাষাভাষীরা পিছিয়ে পড়ছেন। ইংরেজি থেকে হিন্দিতে অনুবাদেও বিস্তর ভুল হচ্ছে। আমরা ইংরেজির বিরুদ্ধে নই। যাঁরা সে ভাষায় পড়তে চান, পড়তে পারেন। কিন্তু আমাদের দাবি, কেন্দ্রীয় স্তরের পরীক্ষায় প্রশ্ন করতে হবে হিন্দিতে। আর রাজ্যে রাজ্যে স্থানীয় ভাষায়। এর পর সেটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে। জাপান, চিনের মতো দেশেও ছাত্ররা নিজেদের ভাষায় পড়েন। আন্তর্জাতিক স্তরে ইংরেজিতে কোনও বিষয় এলেই বিশেষজ্ঞরা সেটি তৎক্ষণাৎ সেই ভাষায় রূপান্তর করে বই প্রকাশ করেন। ফলে আন্তর্জাতিক স্তরের সঙ্গে পাল্লা দিতেও কোনও অসুবিধা হয়না।’’
মোদী সরকারের উপর আরও চাপ বাড়াতে এই প্রস্তাব নিয়ে শীঘ্রই কর্মিবর্গ মন্ত্রকের কাছে দরবার করবে সঙ্ঘ। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক নতুন শিক্ষা নীতির একটি খসড়া তৈরি করেছে। সেখানেও সঙ্ঘের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাসের বক্তব্য, পড়ুয়াদের যৌন শিক্ষার নামে যা শেখানোর ভাবনা হয়েছে, তা একেবারেই ভুল। এই নামটি মোটেই ব্যবহার করা যাবে না। বরং বয়ঃসন্ধিকালে ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা বুঝে তাঁদের আলাদা করে বোঝানো যেতে পারে। বাবা-মায়েদেরও পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পড়ুয়াদের চরিত্র গঠন, ব্যক্তিত্বের উন্নয়ন, মূল্যবোধ কেন্দ্রিক শিক্ষা আর সর্বোপরি মাতৃভাষায় ভারতীয় দৃষ্টিতে শিক্ষাপদ্ধতি চালু করাই সঙ্ঘের লক্ষ্য।
এই প্রস্তাব রূপায়ণের জন্য কমিটি গড়া হয়েছে। যেখানে রয়েছেন পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আচার্য বালকৃষ্ণ, গায়ত্রী পরিবারের সঞ্চালক প্রণব পাণ্ড্য। সংস্কৃতে বৈদিক শিক্ষার সর্বভারতীয় শিক্ষা বোর্ডও হওয়া উচিত বলে মনে করে সঙ্ঘ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy