কৃতি শর্মা-নীতেশ যাদব এবং মেহরাজ-মাশুক আলি। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
ভিন জাতে বিয়ে করায় হুমকি পাচ্ছিলেন নিজের পরিবারের কাছ থেকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া মারফত তা গোটা দেশের সামনে তুলে ধরেছিলেন উত্তরপ্রদেশের বরেলির বিজেপি নেতা রাজেশ মিশ্রর মেয়ে সাক্ষী। এখনও পর্যন্ত সেই সমস্যার সুরাহা হয়নি। তার মধ্যেই একই অভিযোগ তুললেন আরও দুই নবদম্পতি। পরিবারের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তাঁরা।
প্রথম ভিডিয়োটি সামনে এসেছে বিহার থেকে। কৃতি শর্মা নামের এক তরুণী জানিয়েছেন, বেতিয়া নগর থানার ছাবনি এলাকার বাসিন্দা তিনি। পেশায় মুদি, পাড়ারই যুবক নীতেশ যাদবের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছেন তিনি। আর তার পর থেকেই পরিবারের লোকজন তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। হুমকি দেওয়া হচ্ছে নীতেশের পরিবারকেও। তাঁর অভিযোগ, এতে পুলিশও যুক্ত। প্রাণনাশের আশঙ্কায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। তিনি প্রাপ্তবয়স্ক প্রমাণ করতে ভিডিয়োয় নিজের আধার কার্ডও তুলে ধরেন কৃতি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃতির পরিবার রাজনীতিতে যুক্ত। তাঁর ঠাকুমা স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। যদিও হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে ওই পরিবার। এতে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছে স্থানীয় পুলিশও। ভিডিয়োটি তাঁদের চোখে পড়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কালিবাগ থানার অফিসার মণীশকুমার।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লেখা ৪৯ বিশিষ্টজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা আদালতে
অন্য দিকে, পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের এক নবদম্পতিও। তাতে মেহরাজ নামের এক তরুণী জানিয়েছেন স্বেচ্ছায় মাশুক আলিকে বিয়ে করেছেন তিনি। কিন্তু পরিবারের কাছ থেকে লাগাতার হুমকি পাচ্ছেন। হেনস্থা করা হচ্ছে মাশুকের পরিবারকেও। ভিডিয়োটি সামনে আসতে মোরাদাবাদের এসপি অঙ্কিত মিত্তল জানান, মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মেহরাজের বাবা। মেহরাজ এবং মাশুক, দু’জনেরই বয়স জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা। প্রাপ্তবয়স্ক হলে এবং হুমকির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস নেতৃত্বে অস্পষ্টতা দলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, নতুন মুখ চান শশী তারুর
সাক্ষী মিশ্রর পর এই দুই ভিডিয়ো নিয়েও উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। তবে দুই রাজ্যের সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy