সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট রামমন্দিরের পক্ষে ইতিবাচক রায় দিয়েছে। কিন্তু রামমন্দিরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রায় পড়লে অনেকের মনে ‘নেতিবাচক অনুভূতি’-ই বেশি তৈরি হয়। গত বছর নভেম্বরে রামমন্দিরের পক্ষে সায় দেওয়া শীর্ষ আদালতের রায়ের ‘সেন্টিমেন্ট অ্যানালিসিস’ সে কথাই বলছে।
বাজারে আনা নতুন পণ্য সম্পর্কে মানুষের মনোভাব জানতেও কর্পোরেট সংস্থাগুলি ‘সেন্টিমেন্ট অ্যানালিসিস’-এর সাহায্য নিয়ে থাকে। সরকারি নীতিই হোক তদন্ত রিপোর্ট, তা পড়লে মানুষের মনে কী ধরনের অনুভূতি তৈরি হচ্ছে, তা জানার জন্যও একই পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কোনটি অনুভূতির পক্ষে নেতিবাচক শব্দ, কোনটি ইতিবাচক, তা সফটওয়্যারের মাধ্যমেই ঠিক হয়।
রামমন্দিরের শিলান্যাসের আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ‘সেন্টিমেন্ট অ্যানালিসিস’ বা অনুভূতির বিশ্লেষণ করে প্রতীচী ট্রাস্টের গবেষক সাবির আহমেদের মত, প্রায় ৩ লক্ষ ৩ হাজার শব্দের ১,০৪৫ পৃষ্ঠার ওই রায় থেকেই স্পষ্ট, বিচারপতিদের কাছে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো কতটা কঠিন ছিল। কারণ, রায়ের শব্দ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, তাতে বিতর্কিত, বিবাদ, সীমাবদ্ধতা, প্রতিকূলের মতো শব্দই বেশি। ধর্মবিশ্বাস, আস্থা, স্বস্তি, শ্রদ্ধার মতো শব্দ তুলনায় কম। সাবিরের ব্যাখ্যা, কোনও নথি থেকে নেতিবাচক অনুভূতি তৈরি মানেই সেটা খারাপ তা আদপেই নয়। বরং বলা যেতে পারে, তা অনেক বেশি বাস্তবের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: রামমন্দিরের রাস্তা খুলতেই সুর চড়ল মথুরা-কাশী নিয়ে
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের তদন্তে মুলার রিপোর্টের এই ‘সেন্টিমেন্ট অ্যানালিসিস’ হয়েছিল। প্রতীচী ট্রাস্টের গবেষক অযোধ্যায় রায়েও সেই ‘সেন্টিমেন্ট অ্যানালিসিস’ প্রয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, “মুলার রিপোর্টের মতো অযোধ্যার রায়ও এই বিশ্লেষণে নেগেটিভ। আবার কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে পজিটিভ অ্যানালিসিস আসছে। যার অর্থ, শিক্ষা নীতি পড়লে মানুষের মনে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। কারণ নথিতে সেই ধরনের শব্দই বেশি রয়েছে। যদিও তা শিক্ষার বাস্তব সমস্যার থেকে অনেক দূরে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy