গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। উত্তরপ্রদেশ সরকারকে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, কী কারণে এবং কোন ধারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটাও জানতে চাওয়া হয় রাজ্য সরকারের কাছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভাবমূর্তি ‘কালিমালিপ্ত’ করার অভিযোগে গত ১১ দিন ধরে জেলে বন্দি। প্রশান্তের গ্রেফতারি ‘অবৈধ’ এবং ‘অগণতান্ত্রিক’, এই অভিযোগ তুলে জরুরি ভিত্তিতে তাঁর মুক্তির আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী জাগিশা অরোরা।
এ দিন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অজয় রস্তোগির অবকাশকালীন বেঞ্চ মামলাটি উঠলে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে রীতিমতো ভর্ত্সনা করে বলেন, এমন একটা মামলার জন্য ১১ দিন ধরে কাউকে রিমান্ডে রাখা হয়েছে, এ রকম কখনও শুনেছেন? দিনের পর দিন জেলে বসে থাকবে আর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে যাবে? এটা ঠিক পদ্ধতি নয়। এর পাশাপাশি আদালত এটাও জানিয়েছে, টুইটে যেটা পোস্ট করা হয়েছে সেটাও কাম্য নয়। তবে কাউকে গ্রেফতারের কারণ এটা হতে পারে না!
আরও পড়ুন: জল্পনায় ৩৫৬, হতেও পারে, বললেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ
আরও পড়ুন: ‘দেশদ্রোহী তকমাও পেয়েছি, আজ লড়াই সার্থক’
আদালতে প্রশান্তের জামিনের বিরোধিতা করে যোগীর সরকার। আদালতকে তারা জানায়, প্রশান্তের টুইটার প্রোফাইল পরীক্ষা করার পর দেখা গিয়েছে ধর্ম এবং দেব-দেবী নিয়ে নানা উস্কানিমূলক কথা পোস্ট করেছেন। তারা এই অভিযোগও করে যে, শুধু দেব-দেবী বা ধর্মই নয়, রাজনীতিবিদ এবং বহু মানুষকে নিয়েও বিতর্কিত টুইট করেছেন ধৃত সাংবাদিক। যোগীর সরকার নানা রকম যুক্তি দেখালেও শীর্ষ আদালত তাদের কাছে বার বারই জানতে চায়, কোন ধারায় সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পরই আদালত প্রশান্তকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
প্রশান্তের গ্রেফতারির পর থেকেই যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তুমুল সামলোচনার ঝড় ওঠে। প্রশান্ত-সহ পাঁচ সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে সোমবার দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখান। বাকি চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy