Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
Rajasthan Crisis

‘সাংবিধানিক সঙ্কট’ বলছেন স্পিকার, রাজস্থান মামলা এ বার সুপ্রিম কোর্টে

গোটা ঘটনায় হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ এবং একটার পর একটা তারিখ ঘোষণা করে বিষয়টি অযথা বিলম্বিত করার বিরুদ্ধেই তিনি হাইকোর্টে যাচ্ছেন।

সচিনদের বিরুদ্ধে এ বার সুপ্রিম কোর্টে স্পিকার। —ফাইল চিত্র।

সচিনদের বিরুদ্ধে এ বার সুপ্রিম কোর্টে স্পিকার। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২০ ১১:১৮
Share: Save:

রাজস্থানের স্পিকার সিপি জোশীর সঙ্গে সচিন পাইলটের লড়াই এ বার পৌঁছতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে চলেছে বলে শীর্ষ আদালতের আবেদনে জানাতে চলেছেন সিপি জোশী। বিদ্রোহী সচিন এবং তাঁর অনুগামীদের বিধায়ক পদ কেন খারিজ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিস দিয়েছিলেন স্পিকার। হাইকোর্টে সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন সচিনরা। শুক্রবার সেই মামলার রায় ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। তবে তত দিন পর্যন্ত সচিন ও বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিপি জোশী।

বুধবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে সিপি জোশী বলেন, ‘‘আমি শুধু কারণ জানতে চেয়ে নোটিস দিয়েছি। এটা কি আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে না? বিধায়কদের নোটিস ধরানোর পূর্ণ অধিকার রয়েছেন স্পিকারের। স্পিকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই তা নিয়ে আদালতে যাওয়া যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা ঘটেছে, তা সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘিত হয়েছে।’’

জোশী আরও বলেন, ‘‘আমাদের দেশে সব কিছু সংবিধান মেনেই হয়। সংসদীয় গণতন্ত্র মেনে এখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাঁদের কর্তব্য পালন করেন। ঐতিহ্য মেনে আমরা কাজ করি। কিন্তু তার মধ্যেও আয়ারাম গয়ারামদের জন্য সংবিধানে সংশোধন ঘটানো হয়েছিল। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কোনও বিধায়ককে অযোগ্য মনে হলে তাঁর পদ খারিজ করার অধিকার রয়েছে স্পিকারের। শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী বিধায়কদের নোটিস ধরানোর পূর্ণ অধিকার রয়েছে স্পিকারের। স্পিকার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া যায়।’’

আরও পড়ুন: দেশে মোট আক্রান্ত ১২ লক্ষ ছুঁইছুঁই, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২৮ হাজার

গোটা ঘটনায় হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ এবং একটার পর একটা তারিখ ঘোষণা করে বিষয়টি অযথা বিলম্বিত করার বিরুদ্ধেই তিনি হাইকোর্টে যাচ্ছেন বলে জানান সিপি জোশী। তাঁর কথায়, ‘‘বিচারব্যবস্থা এবং প্রশাসনের মধ্যে কোনও সঙ্ঘাত পরিস্থিতি তৈরি হোক, তা চাই না আমি। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। বিধানসভার মর্যাদা রক্ষা করতেই হবে। তাই সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্ট পরিস্থিতি সামলে নিক, এমনটাই চাই আমি। নোটিস দেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে আমার। সেই অধিকার প্রয়োগ করতে পারব না কেন?’’

আরও পড়ুন: বাংলা নিয়ে জরুরি বৈঠক সপ্তাহ জুড়ে, দিল্লি যাচ্ছে গোটা রাজ্য বিজেপি​

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে সিপি জোশীর হয়ে সওয়াল করতে পারেন বলে কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখানে সংবিধানের ২১২ ধারা তুলে ধরতে পারেন তিনি। ওই ধারায় বলা হয়েছে, বিধানসভার কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। কোনও বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নে‌ওয়া হয়ে গেলে, তার পর আদালতে সেটিকে চ্যালেঞ্জ জানানো যায়। তাই স্পিকার যেহেতু চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেননি, শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিস ধরিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে হাইকোর্ট কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বলে আদালতে জানানো হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy