Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
congress

বৈঠকে ‘বিক্ষুব্ধ’দের বার্তা রাহুলের, ফের কি ফিরবেন সভাপতি পদে?

গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর দলীয় ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। তার পর বছরখানেক ঘুরলেও দলের সভাপতির পদ শূন্যই থেকেছে।

রাহুল ও সনিয়া। ফাইল চিত্র।

রাহুল ও সনিয়া। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:৫৪
Share: Save:

দলের সকলের ইচ্ছানুসারেই কংগ্রেসের কাজ করতে চান তিনি। ‘বিক্ষুব্ধ’ দলীয় নেতাদের নিয়ে সনিয়া গাঁধীর বৈঠকে এই বার্তাই দিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী। রাহুলের এই বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ‘বিক্ষুব্ধ’রাও, এমনটাই দাবি কংগ্রেস নেতাদের। যদিও নতুন বছরে সভাপতির পদে প্রত্যাবর্তন হবে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রাহুলের এই বার্তা। যদিও সূত্রের খবর, রাহুলকেই পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দেখতে চেয়েছেন সমস্ত দলীয় নেতারা। তবে এ বিষয়টি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি করা হোক বলে মত প্রকাশ করেছেন রাহুল স্বয়ং।

শনিবার দলের ‘বিক্ষুব্ধ’দের নিয়ে ৭ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক করেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গাঁধী। রাহুল ছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রা-সহ সেই ২৩ জন ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের একাংশ, যাঁরা কংগ্রেস নেতৃত্বে পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে চলতি বছরের গোড়ায় সনিয়াকে চিঠি লিখেছিলেন। মূলত, আগামী বছরে কংগ্রেসের নয়া সভাপতি নির্বাচনের আগে ওই নেতাদের ‘মানভঞ্জনের’ পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

বৈঠকের পর কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা পবন বনসল জানিয়েছেন যে রাহুল বলেছেন, “দলের সমস্ত নেতাদের ইচ্ছানুযায়ী কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে আমি রাজি।” ‘বিক্ষুব্ধ’দের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দলীয় সংগঠনকে বুথস্তরে মজবুত করার জন্য নেতাদের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর দিকেও জোর দিয়েছেন রাহুল। রাহুলের এই মতকে সমর্থন করেছেন উত্তরপ্রদেশে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রা।

আরও পড়ুন: ‘বিক্ষুব্ধ’দের নিয়ে সনিয়া বৈঠকে, দলকে দিশা দেখানোর কাজ শুরু

গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর দলীয় ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। তার পর বছরখানেক ঘুরলেও দলের সভাপতির পদ শূন্যই থেকেছে। কংগ্রেসকে পিছনে ঠেলে বিজেপি একের পর এক রাজ্য দখল করলেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন রাহুল।

পরিস্থিতি সামলাতে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব নেন সনিয়া। আগামী বছর দলের সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত তিনিই সেই দায়িত্ব সামলাবেন। সেই পদে রাহুলকে ফের দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ‘বিক্ষব্ধরা’।

আরও পড়ুন: আইপিএস ইস্যু: মমতাকে সমর্থন করে কেন্দ্রকে তোপ বাঘেলের

নেতৃত্ব নিয়ে এই ডামাডোলের মধ্যেই দলের ‘বিদ্রোহী’দের জন্য কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশ দখল করে নিয়েছে বিজেপি। বিধানসভার পাশাপাশি কেরল এবং রাজস্থানের পুরভোটেও জমি হারিয়েছে কংগ্রেস। তবে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, গত অগস্টে নেতৃত্ব নিয়ে ২৩ জন ‘বিক্ষব্ধ’-র পত্রবোমার পর দলেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তাঁরা। যদিও আগামী দিনের বৈঠকে সেই নেতাদের ‘অভিমান’ মেটানোর দিকেও সনিয়া মন দেবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

রাহুলের মতোই শনিবারের বৈঠকে সনিয়াও বার্তা দিয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। কংগ্রেসকে একটি বড় পরিবার আখ্যা দিয়ে দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করার কথা বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে কংগ্রেসে যে কোনও মতভেদ নেই, সে দাবিও করেছেন সনিয়া। সনিয়ার সে দাবি নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকলেও এই প্রথম গুলাম নবি আজাদ, শশী তারুর বা আনন্দ শর্মাদের মতো ‘বিক্ষুব্ধ’দের গাঁধীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে সরাসরি কথা বলতে দেখা গিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

congress rahul sonia meeting gandhi family
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy