রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।
সভাপতি হিসেবে কাজ শুরু করলেন সনিয়া গাঁধী। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়েনাডে বন্যা দেখতে গিয়েছেন রাহুল গাঁধী। আগামিকাল ফের সোনভদ্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
প্রশ্ন হল, সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা মঞ্জুরের পর এ বার কী ভূমিকা হবে রাহুলের?
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘‘রাহুলই দলের মুখ থাকবেন। কোনও দায়িত্ব ছাড়াই ক্ষমতা ভোগ করবেন তিনি।’’ কিন্তু কত দিন? নেতাটির কথায়, ‘‘সনিয়া গাঁধী অন্তর্বর্তী সভাপতি হলেও কত দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন করতে হবে, তা দলের সংবিধানে স্পষ্ট নেই। এমনও হতে পারে, রাহুল যত দিন না ফের দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছেন, তত দিন ভার সামলাবেন ‘ম্যাডাম’। রাহুল একান্তই রাজি না হলে দলের ভার যেতে পারে প্রিয়ঙ্কারও কাছেও। তবে কোনওটির জন্যই তাড়াহুড়ো নেই।’’
দল জানাচ্ছে, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের এক দিন আগে গোটা দেশ থেকে আসা কংগ্রেসের নেতাদের রাহুল জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন। তাঁর একটি পদযাত্রার পরিকল্পনাও তৈরি হয়েছে। সেটি ২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এগিয়েও আনা হতে পারে। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগে রাহুল সুকৌশলে দলের রাশ প্রবীণদের হাতে যাওয়ার চেষ্টাকে প্রতিহত করেছেন। গোটা দেশের পদাধিকারীদের দিয়ে ভোট করিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, দল এখনও তাঁকেই সভাপতি পদে দেখতে চায়। সনিয়া সভাপতি হওয়ায় প্রবীণেরা খুশি হলেও রাহুল বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাশ গাঁধী পরিবারের হাতেই থাকছে। কিন্তু কংগ্রেসেরই এক নেতা বলেন, ‘‘এর উল্টো পিঠের ছবিও রয়েছে। লোকসভা ভোটের হারের নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে রাহুল গাঁধী ইস্তফা দিয়ে ভেবেছিলেন, দলে দলে নেতারা তাঁর সমর্থনে পদ ছাড়বেন। সেটি হয়নি। রাহুল একটি গোষ্ঠী তৈরি করে নতুন সভাপতি খুঁজতে বলেছিলেন, হয়নি। শনিবার দিনভর বৈঠক হল, কিন্তু রাহুলকে সভাপতি পদে থেকে যাওয়ার দাবি তুলে দিল্লির কর্মীদেরও জমায়েত হল না। ফলে দলের মধ্যেও রাহুলের গ্রহণযোগ্যতা কতটা, তা বিবেচনার বিষয়।’’
আর সে কারণেই দলের অনেকে মনে করছেন, প্রিয়ঙ্কা যদি আগামী কয়েকদিনে আরও সক্রিয় হন, সনিয়ার পর সভাপতি পদে তাঁর নামের দাবি উঠতে পারে। শনিবার পদাধিকারীদের যে ভোট হয়েছে, তাতে সিংহভাগই বলেছেন রাহুলের নাম। রাহুল না হলে প্রিয়ঙ্কা। সম্প্রতি সোনভদ্রের নরসংহার নিয়ে যে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা, তা মনোবল বাড়িয়েছে দলের অনেককে। তাঁকে সোনভদ্রে যেতে দেয়নি যোগী সরকার। চুনার দুর্গে আটকে রাখা হয়েছিল। প্রিয়ঙ্কা আগামিকাল ফের যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন সোনভদ্রের গ্রামে। প্রিয়ঙ্কার নির্দেশে আক্রান্ত প্রতি পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা দিয়েছে কংগ্রেস। প্রশাসন বাদ না সাধলে আগামিকাল সে গ্রামে ঘণ্টাখানেক কাটিয়ে কালই ফিরে আসবেন দিল্লিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy