ছবি সংগৃহীত
সুস্থ আছেন অমিত শাহ। গত কাল করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। আজ হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, শাহের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক। কিন্তু কেন এমসের মতো সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে হরিয়ানার হাসপাতালে ভর্তি হলেন শাহ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। বিরোধীদের মতে, শাহ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা এতটাই খারাপ যে মন্ত্রীরা সেখানে চিকিৎসা করানোর ব্যাপারে ভরসা করতে পারছেন না।
অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো বুধবার। তার আগে শাহের অসুস্থতা এমনিতেই নানাবিধ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত কাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর করোনা হওয়ার খবর জানাজানির পরে খোদ প্রধানমন্ত্রীর অযোধ্যা যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অমিতের সঙ্গে বুধবারের বৈঠকে থাকার পরেও তিনি কেন নিভৃতবাসে যাবেন না, সে প্রশ্ন উঠছিল। আর আজ সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে যে খোঁচা তারুর দিয়েছেন, তাতে বেশ অস্বস্তিতে সরকার। তারুর তাঁর টুইটে লেখেন, ‘বিস্ময়কর হল আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমসের পরিবর্তে পাশের রাজ্যের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে চিকিৎসার জন্য বেছে নিয়েছেন। ক্ষমতাবানদের উচিত সরকারি ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করা যাতে জনতা ভরসা পায়।’
বাম ছাত্র সংগঠন এআইএসএ-ও বলেছে, শাহের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকেই স্পষ্ট, গত ছ’বছরে দেশে একটিও উন্নত মানের হাসপাতাল খুলতে ব্যর্থ হয়েছে মোদী সরকার। গোটা ঘটনায় অবশ্য মুখে কুলুপ বিজেপি নেতৃত্বের। তবে এমসে ভর্তি না-হলেও, শাহকে দেখভালের জন্য যে চিকিৎসকের দল গঠন করা হয়েছে, তার শীর্ষে রয়েছেন এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
আরও পড়ুন: সোমবারেও আমন্ত্রণের ফোন পাননি আডবাণী!
শাহ তাঁর করোনা সংক্রমণের কথা জানিয়েছিলেন রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ। প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পরে হঠাৎ নিভৃতবাসে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর টুইট, ‘বন্ধুরা, আমি ভাল আছি। কিন্তু যে হেতু শনিবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলাম, তাই নিয়ম মেনে আমি নিভৃতবাসে রয়েছি।’
নিভৃতবাসে যেতে হয়েছে বিজেপি সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)-এর সভাপতি বিনয় সহস্রবুদ্ধকেও। গত শনিবার বাল গঙ্গাধর তিলকের মৃত্যুর শতবর্ষ উপলক্ষে আইসিসিআর আয়োজিত সভায় শাহের পাশে বসেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: টাইমস স্কোয়ারে পুজো ঘিরে শুরু চাপানউতোর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy