Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

বিচ্ছিন্ন হয়ে দু’মাস, মিছিলে সাংবাদিকেরা

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ আর সেই ইস্তক শুরু হওয়া কড়াকড়ির দু’মাস পূর্ণ হচ্ছে কাল। স্কুল-কলেজ-অফিস এখনও বন্ধ। গাঁধী জয়ন্তীতে কোথাও বিশেষ অনুষ্ঠানও নেই।

জাতীয় ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের নীরব মিছিল শ্রীনগরে।—ছবি পিটিআই।

জাতীয় ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের নীরব মিছিল শ্রীনগরে।—ছবি পিটিআই।

সাবির ইবন ইউসুফ
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৩৮
Share: Save:

৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের আবহে উপত্যকার যে সব রাজনৈতিক নেতাকে সতর্কতামূলক হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।

রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের পরামর্শদাতা ফারুক খানকে আজ নেতাদের মুক্তির প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, একে একে প্রত্যেকের বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে।’’ জম্মু-কাশ্মীরে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত তৎপরতা প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, ‘‘সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।’’

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ আর সেই ইস্তক শুরু হওয়া কড়াকড়ির দু’মাস পূর্ণ হচ্ছে কাল। স্কুল-কলেজ-অফিস এখনও বন্ধ। গাঁধী জয়ন্তীতে কোথাও বিশেষ অনুষ্ঠানও নেই। কার্যত নেই কোনও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। এত দিন দোকানপাট-হকারে গমগম করা ঘিঞ্জি লাল চক এখন খাঁ খাঁ। হাসপাতালে রোগী কমছে। ভিন্‌ রাজ্য বা ভিন্ দেশের বাসিন্দা আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা এখনও দূর অস্ত্। মোবাইল নেই, বাড়িতে ইন্টারনেটও নেই।

ঠিক এই কারণেই উপত্যকায় সাংবাদিকদের কাজ করাটাই এখন বিড়ম্বনা হয়ে উঠেছে। স্থানীয়, জাতীয় ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকেরা আজ প্ল্যাকার্ড হাতে নীরব মিছিল করেছেন শ্রীনগরে। প্রেস ক্লাব থেকে ঘণ্টাঘরের দিকে যাওয়ার পথে বাহিনী ১৪৪ ধারার কথা বলে মিছিল আটকে দেয়। প্রতিবাদী এক সাংবাদিক বললেন, ‘‘যোগাযোগের কোনও মাধ্যম না-থাকায় অন্যান্য জেলা তো দূর, শ্রীনগর শহরে কী ঘটছে, তা-ই জানতে পারছি না। পাঠক বা দর্শকেরা আমাদের দুষছেন, আমরা খবর দিতে পারছি না বলে। কিন্তু খবরটা পাব কোথায় থেকে?’’

সাংবাদিকদের অভিযোগ, খবরের সূত্র প্রকাশ করার জন্য তাঁদের চাপ দিচ্ছে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। সরকারি বাসস্থান ছেড়ে দিতে হয়েছে তাঁদের অনেককে। বাড়িতে বা মোবাইলে ইন্টারনেট নেই, অথচ সরকারের তৈরি করে দেওয়া মিডিয়া সেন্টারে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কোনও বালাই নেই বলে অভিযোগ করছেন সাংবাদিকেরা। শ্রীনগরের এই সেন্টারে আছে মাত্র পাঁচটি কম্পিউটার। সেখানে পাঁচ মিনিট বসে খবর পাঠানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় সাংবাদিকদের। কারণ ভিড় লেগেই থাকে মিডিয়া সেন্টারে। আজ মিছিলে সাংবাদিকদের মূল দাবি তাই ছিল একটাই— সংবাদমাধ্যমের অফিসে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ ফেরানো হোক।

সরকার অবশ্য এখনও বলে চলেছে, উন্নতি হচ্ছে পরিস্থিতির।

অন্য বিষয়গুলি:

Article 370 Jammu and Kashmir
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy