Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Sharjeel Imam

শাহিনবাগ আন্দোলনের মুখ সারজিলের বিহারের বাড়িতে পুলিশি হানা

জেহনাবাদ পুলিশ সুপার মনীশ কুমার জানান, রবিবার রাতে সারজিলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।

সারজিল ইমাম।

সারজিল ইমাম।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:১৩
Share: Save:

শাহিনবাগ থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগে সারজিল ইমামের বিরুদ্ধে আগেই মামলা করেছিল অসম সরকার। একই অভিযোগে দিল্লি পুলিশ রবিবার আরও একটি আলাদা মামলা করে সারজিলের বিরুদ্ধে। এ বার বিহারে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে হানা দিল পুলিশ।

শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম মূল উদ্যোক্তা সারজিল। বিহারের জেহনাবাদে কাকো থানা এলাকায় তাঁর বাড়ি। জেহনাবাদ পুলিশ সুপার মনীশ কুমার জানান, রবিবার রাতে সারজিলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন ছিলেন না। সারজিলকে না পেয়ে তাঁর পরিবারের দুই সদস্য এবং তাঁদের গাড়ি চালককে জেরার জন্য তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। যদিও পরে তাঁদের সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োর ভিত্তিতে সারজিল ইমামের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগ এনে মামলা করে অসম সরকার। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে সারজিলকে বলতে দেখা যায়, ‘‘অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত। অসমে মুসলিম ও বাঙালিদের মারা হচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যে সব বাংলাভাষীকে মারা হবে। যথেচ্ছ ভাবে তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে। তাই রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে ভারত থেকে অসমকে আলাদা করতে হবে। পুরো না হলেও কয়েক দিনের জন্যে।’’ এই মন্তব্যকে প্ররোচনামূলক মনে করেই ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করে অসম সরকার।

আরও পড়ুন: টানা ৪০ দিন যুদ্ধ করার মতো অস্ত্র মজুত শুরু করল ভারত

আরও পড়ুন: ‘রাগ নিয়ে নয়...’, শাহিনবাগ নিয়ে শাহের মন্তব্যের উত্তর ফেরালেন প্রশান্ত কিশোর

শাহিনবাগ আন্দোলনের প্রধান মুখ সারজিল ইমাম জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। শাহিনবাগে ধর্না শুরু হওয়ার সময় থেকেই ঘরছাড়া তিনি। সিএএ-এর বিরুদ্ধে লাগাতার লিখে গিয়েছেন বেশ কয়েকটি হিন্দি ও ইংরেজি সংবাদপত্রে। শুধু শাহিনবাগই নয়, এর আগে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উস্কানিমূলক মন্তব্য দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে সারজিলের বিরুদ্ধে।

সারজিলের বাবা আকবর ইমাম প্রাক্তন ছিলেন জেডিইউ-এর স্থানীয় নেতা। ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে সারজিলের মা আফশান রহিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমার ছেলে প্রতিভাবান। চোর বা পকেটমার নয়। ও নির্দোষ। জানি না, ও কোথায় রয়েছে। তবে এটুকু আশ্বাস দিতে পারি ওর বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছে তার তদন্তের জন্য সব রকম সহযোগিতা করবে।”

আফশানের দাবি, ফোনে ছেলের সঙ্গে বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে কথা হয়েছে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি দীর্ঘ দিন। তিনি বলেন, “সিএএ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন সারজিল। শাহিনবাগের আন্দোলনের ১৫ দিনের মাথায় বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন তুলে নিতে বলেছিল সে। কিন্তু তাঁরা শোনেনি। সারজিল শুধু রাস্তা অবরোধই করেছিল। কোনও প্ররোচনামূলক কথা বলেনি।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE