আগামী এক দশকে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে শূন্যতে নিয়ে আসার লক্ষ্য নিল ভারতীয় রেল। বুধবার সন্ধ্যায় রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন।
টুইটে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘২০৩০-এর মধ্যে আমাদের নেট-জিরো রেলওয়ে হবে। ভারতীয় রেলের কার্বন নিঃসরণ শূন্য হয়ে যাবে।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘প্রতি বছর ৮০০ কোটি যাত্রী ও ১২০ কোটি টন পণ্য পরিবহণ করে ভারতীয় রেল। পৃথিবীতে প্রথম এই মাপের রেলওয়ে সম্পূর্ণ ভাবে ‘গ্রিন’ হয়ে উঠবে।’’
ভারতীয় রেলওয়ে বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম। আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পরই রয়েছে ভারত। ভারতে মোট ৬৭ হাজার ৩৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে রয়েছে ৭ হাজার ৩০০টি স্টেশন। নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৪-তে ভারতীয় রেল কার্বন নিঃসরণ করেছিল ৬৮ লক্ষ ৪০ হাজার টন। এই কার্বন নিঃসরণকেই কমিয়ে আনতে চাইছে রেল।
By 2030 we will be a net-zero railway, our carbon emission will be zero.
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) August 26, 2020
Indian Railways transports nearly 8 billion passengers and 1.2 billion tonnes of freight every year.
Ours will be the world's first Railways of this scale to go green. pic.twitter.com/x08SmseRrP
কার্বন নিঃসরণ কমাতে ডিজেল ইঞ্জিনের ব্যবহার কমিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় যেতে হবে রেলকে। এ ব্যাপারে রেলমন্ত্রী পীষূষ গয়াল বলেছেন, ‘‘২০২৩-এর ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতীয় রেল ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিক হয়ে উঠবে। বিশ্বে প্রথম এত বড় মাপের রেল পরিষেবা পুরোপুরি ভাবে ইলেকট্রিক নির্ভর হবে।’’ গত বছরই কয়লা ও ডিজেল নির্ভরতা কমিয়ে রেলের বৈদ্যুতিকরণের পথে হাঁটার লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। সে পথেই যে হাঁটা হচ্ছে, এ দিন তা বুঝিয়ে দিলেন রেলমন্ত্রী।
বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা চালু হলে ট্রেনের গড় গতি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়বে বলে জানিয়েছেন রেল বোর্ডের এক সিনিয়র অফিসার।
আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণ না পাওয়া গেলে জিএসটি ছাড়ার হুঁশিয়ারিও
আরও পড়ুন: কোভিডে চাই যক্ষ্মার পরীক্ষাও, নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের