Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Pakistan

চিনা ড্রোনের মাধ্যমে ভারতে হামলার ছক পাকিস্তানের, সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা

শীতের মরসুমে বরফাবৃত পাহাড় ও নদী পেরিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানো মোটেই সহজসাধ্য কাজ নয়। তাই জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে এই ধরনের ড্রোন ভারতে ঢুকছে বলে অভিযোগ।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:৫০
Share: Save:

সীমান্তের মজবুত নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে ভারত। তাতে বাধা আসছে অনুপ্রবেশে। ভারতে নাশকতা চালাতে তাই এ বার চিনের তৈরি ড্রোনই ভরসা পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন এবং সে দেশের গুপ্তরচর সংস্থা আইএসআইয়ের। গোয়েন্দা সূত্রে এ বার এমনই তথ্য উঠে এল। বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে আগেই ভারতে যে সমস্ত জঙ্গি এসে পৌঁছেছে, তাদের অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের জোগান দিতে ভারী ওজন বইতে সক্ষম চিনা ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। টাকার জোগান যাতে অব্যাহত থাকে তার জন্য ড্রোনে বেঁধে পাঠানো হচ্ছে মাদকও। ড্রোনে বোমা বেঁধে ভারতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

শীতের মরসুমে বরফাবৃত পাহাড় ও নদী পেরিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানো মোটেই সহজসাধ্য কাজ নয়। তাই জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে এই ধরনের ড্রোন ভারতে ঢুকছে বলে অভিযোগ। ১২ অগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের চারটি ড্রোন উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, আইএসআই-ই এর নেপথ্যে রয়েছে। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে হামলা চালানোর জন্য পাঠানোর চেয়ে ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানোর খরচ অনেক কম, তা বুঝে গিয়েছে তারা। গত এপ্রিলে পঞ্জাব প্রদেশে সেই নিয়ে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে বৈঠক করে তারা। মে মাসে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলায় দু’পক্ষের বৈঠকেও তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। তার পরই ভারতের আকাশে পাক ড্রোনের আনাগোনা বেড়েছে।

পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ আগামী কয়েক মাস ভারতের জন্য সমস্যা বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ ড্রোন প্রতিরোধী প্রযুক্তি বসিয়ে পাকিস্তানকে ঠেকাতে চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখছে না ভারত। কিন্তু শীতের মরসুমে পঞ্জাব এবং জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্ত এলাকা কুয়াশায় ঢেকে যায়। পরিষ্কার ভাবে কিছুই ঠাহর হয় না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান বড় ড্রোনের মাধ্যমে নাশকতা চালাতে পারে। তার জন্য ইতিমধ্যেই বায়ুসেনার দ্বারস্থ হয়েছে পঞ্জাব পুলিশ। বিমানের তুলনায় কম উচ্চতায় ওড়া ড্রোন শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় রেডারের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-ও ড্রোন প্রতিরোধী প্রযুক্তি কেনায় উদ্যোগী হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy