Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

রুটিরুজির সমস্যাই অস্ত্র বিরোধীদের

সঙ্ঘ পরিবারের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস বাদে বাকি ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন আগামী ৮ জানুয়ারি দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০২
Share: Save:

অযোধ্যা রায় নিয়ে একটি কথাও নয়। আগামিকাল থেকে সংসদের অধিবেশনের আগে আজ সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীরা সরব হলেন আর্থিক ঝিমুনি, বেকারত্ব, কৃষি সঙ্কটের মতো বিষয়গুলি নিয়ে। তাঁদের দাবি, সংসদে এ নিয়ে আলোচনায় সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। সেখানেই না থেমে আগামী বছরের গোড়ার দিকে বিরোধী দলগুলি দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিতে পারে। এ নিয়ে কংগ্রেস, বাম ও অন্যান্য দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। সূত্রধরের ভূমিকায় সিপিএম।

সঙ্ঘ পরিবারের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস বাদে বাকি ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন আগামী ৮ জানুয়ারি দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এর মধ্যে কংগ্রেস, বাম-সহ সব শ্রমিক সংগঠন রয়েছে। সিপিএম চায়, ওই ধর্মঘটকে শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘটে সীমাবদ্ধ না-রেখে, রাজনৈতিক দলের ধর্মঘটে রূপান্তরিত করতে।

আগামিকাল থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেখানেও আর্থিক ঝিমুনি, রুটিরুজির সমস্যাকেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রধান হাতিয়ার করতে চাইছে কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম, সমাজবাদী পার্টির (এসপি) মতো দলগুলি। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই আর্থিক সমস্যা নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে। দলের সভাপতি সনিয়া গাঁধীর উদ্যোগে দিল্লিতে বিরোধী নেতারা বসে ঠিক করেছেন, সংসদ চলাকালীন একদিন আর্থিক সমস্যার প্রতিবাদে মিলিত ভাবে বিক্ষোভ হবে।

আরও পড়ুন: মোদী সরকারকে তোপ কানহাইয়ার

বিরোধী শিবিরের যুক্তি, জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতার মতো বিষয়গুলিকে সামনে এনে অর্থনীতি, রুটিরুজির সমস্যাকে আড়ালের কৌশল নেয় বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা যাতে সেই পথে যেতে না পারেন, তাই সর্বদল বৈঠকে অযোধ্যা-রায়ের বিষয়টি তোলা হয়নি।

বৈঠকে কংগ্রেস দাবি করেছে, অধিবেশনে আর্থিক সঙ্কট, কৃষি, বেকারি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তৃণমূল বলেছে, মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা দরকার। এসপি-র রামগোপাল যাদবের দাবি, চাকরির অভাব রুখতে সরকারি চাকরির সুযোগ বাড়াতে হবে। তেলুগু দেশমের বক্তব্য, বাজারে কেনাকাটা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া দরকার। কংগ্রেস আগামিকাল সকালে বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য বৈঠক ডেকেছে।

সিপিএম নেতাদের মতে, সংসদে হইচই করলেই হবে না। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। শনি-রবিবার সিপিএমের পলিটবুরোর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ডিসেম্বর জুড়ে আর্থিক সমস্যা নিয়ে প্রচার চালানো হবে। যা ধর্মঘটে শেষ হবে। কংগ্রেসের মতো বাকি দলগুলিও রাস্তায় নামছে। তাঁরাও যাতে ধর্মঘটে যোগ দেয়, তা নিয়ে অন্য দলগুলির সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক ও ত্রিপাক্ষিক স্তরে আলোচনা চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Unemployment Economic Slowdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy