সংঘর্ষে তপ্ত মেঘালয়ও। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
হিংসা থিতিয়ে এলেও রাজধানীতে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। তার মধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে এ বার তেতে উঠল মেঘালয়। সেখানে খাসি ছাত্র সংগঠন (কেএসইউ) এবং অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে এক জন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রচুর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। তার জেরে মেঘালয়ের ছ’টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কার্ফু জারি হয়েছে শিলং-সহ একাধিক জায়গায়।
সীমান্ত সংলগ্ন জনজাতিপূর্ণ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বাইরে থেকে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি লাগে, আক্ষরিক অর্থে যা ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) হিসাবে পরিচিত। সিএএ চালু হলে এই ইনার লাইন পারমিট প্রথার উপর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা সেখানকার বাসিন্দাদের। পূর্ব খাসি পার্বত্য অঞ্চলের ইছামতী এলাকায় শুক্রবার তা নিয়ে বিশেষ বৈঠক চলছিল কেএসইউ এবং অ-জনজাতি প্রতিনিধিদের মধ্যে। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষ চলাকালীন বাজার সংলগ্ন একটি খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতেও। সংঘর্ষ চালকালীনই লুরশাই হাইনিউতা নামের এক কেএসইউ সদস্যের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন একাধিক পুলিশকর্মীও।
আরও পড়ুন: ১৪৮টি এফআইআর, আটক ৬৩০, স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে থমথমে রাজধানী
আরও পড়ুন: গুজরাতের মতো দাওয়াই না দিলে চলবে না! শাসানি দিল্লিতে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিলং-সহ একাধিক এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় পূর্ব জয়ন্তিয়া, পশ্চিম জয়ন্তিয়া, পূর্ব খাসি, রি ভই, পশ্চিম খাসি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি পার্বত্য এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে নজর রাখতে একাধিক জায়গায় নামানো হয়েছে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy