ছবি: পিটিআই।
এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় নামের পাশে ‘অ্যাকসেপ্টেড’ লেখা থাকলেই তা রক্ষাকবচ নয়। অতীতে যদি কারও নামে ডি-ভোটারের নোটিস থাকে, তবে সেই মামলাও চলবে। প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকাকে এনআরসি বলতেও নারাজ অসম সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র কমিশনার আশুতোষ অগ্নিহোত্রী আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (আরজিআই) যতক্ষণ না চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করছে ততক্ষণ এই তালিকার কোনও আইনি মান্যতা নেই।’’ এনআরসিভুক্ত ৩ কোটি ১১ লক্ষ ২১ হাজার ৪ জনের নামই চূড়ান্ত তালিকায় থাকবে, না কি তালিকাছুট ব্যক্তিদের মামলার নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত আরজিআই অপেক্ষা করবে, তা-ও স্পষ্ট নয় বলে তিনি জানান।
স্বরাষ্ট্র দফতরের কমিশনার বলেন, ‘‘এনআরসি প্রকাশের দায়িত্ব একমাত্র আরজিআইয়ের। আপাতত অনলাইন তালিকার উপরে ভিত্তি করে, নাম বাদ পড়া ব্যক্তিরা সার্টিফায়েড কপি হাতে পাবেন। তার ভিত্তিতে ১২০ দিনের মধ্যে, নির্দিষ্ট ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে গিয়ে শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন জমা করতে হবে। আবেদন জমা হলে মিলবে ইউনিক রেফারেন্স নম্বর। মোবাইলে বার্তা যাবে।’’ ট্রাইব্যুনালে মামলা নথিভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনকারীর সব প্রমাণপত্র চাওয়া হবে। ৩০ দিনের মধ্যে জেলাশাসক বা তাঁর প্রতিনিধি সেই সব জমা দেবেন।
বঙাইগাঁওয়ের ঝড়াপারার সন্ধ্যা রায়ের নাম এনআরসিতে থাকলেও তিনি ১০ সেপ্টেম্বর ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নোটিস পান। যদিও সেই নোটিস ইস্যু হয়েছিল ১৭ অগস্ট। এনআরসিতে নাম থাকায় তিনি আদালতে আর যাননি। কিন্তু অগ্নিহোত্রী বলেন, ‘‘বকেয়া নোটিস থাকলে এনআরসিতে নাম এলেও আদালতের শুনানিতে যেতে হবেই। তবে ঘোষিত বিদেশি বা বিচারাধীন সন্দেহজনক বিদেশিরা তালিকাছুট হলে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে নতুন করে আবেদন করতে পারবেন না।’’ তিনি জানান, তাঁদের আগের মামলার প্রক্রিয়াই বহাল থাকবে। অনলাইন তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে ‘ডি-ভোটার’ নোটিস পাঠানো বন্ধ হল, এমনটাও বলতে পারছে না রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্র কমিশনার
বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy