প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে উদ্ধব ঠাকরে। ছবি: পিটিআই
সংসদে এবং সংসদের বাইরে অমিত শাহ বহু বার বলেছেন, সারা দেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কার্যত সেই দাবি খারিজ করে বলেছিলেন, সরকারে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে মহারাষ্য়্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে যা বললেন, তাতে এনআরসি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সেই আগের অবস্থানই আবারও সামনে এল। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, মোদী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, সারা দেশে এনআরসি হবে না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করে উদ্ধব জানান, মহারাষ্ট্রে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর)-র কাজ শুরু করতে চলেছেন তিনি।
বিজেপি-শিবসেনা দীর্ঘ দিনের জোটসঙ্গী ছিল। কিন্তু গত বছরের অক্টোবরে মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সরকার গঠন ঘিরে দুই শরিকের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। আড়াই বছর করে দু’দলের মুখ্যমন্ত্রীর ফর্মুলায় অনড় ছিলেন উদ্ধব। সেই টানাপড়েনের মধ্যেই শরদ পওয়ারের ভাইপো তথা এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শপথও নিয়ে ফেলেছিলেন দেবন্দ্র ফডণবীস। কিন্তু সেই সরকার টেকেনি। আর সেই বিবাদের জেরে দীর্ঘদিনের দুই জোট শরিকের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে শিবসেনা-এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট। মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব ঠাকরে।
এ হেন পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে বসার পর এই প্রথম দিল্লি সফর করলেন উদ্ধব। শুক্রবার তাঁর সঙ্গী ছিলেন ছেলে আদিত্য। স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উদ্ধবের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বৈঠকের পর উদ্ধব বলেন, ‘‘সিএএ, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে কথা হয়েছে। আমার অবস্থান দৃঢ় ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। সিএএ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এতে মুসলিম সম্প্রদায়ের সুবিধা হবে। সারা দেশে এনআরসি হবে না। নাগরিকদের যদি কোনও বিপদ হয়, আমরা তার প্রতিবাদ করব।’’
আরও পড়ুন: আসাদউদ্দিনের সামনে সিএএ বিরোধী মঞ্চে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান, গ্রেফতার তরুণী
আরও পড়ুন: এক ঘরে ঢুকিয়ে মহিলা কর্মীদের নগ্ন করে ‘ফিটনেস টেস্ট’, তোলপাড় সুরত
সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে এখনও দেশ জুড়ে চলছে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। কয়েকটি রাজ্য আবার এনপিআর-এর কাজও বন্ধ রেখেছে। যাঁরা সিএএ-র প্রতিবাদ করছেন, তাঁদেরও নিশানা করেছেন শিবসেনা প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা এটাতে উস্কানি দিচ্ছেন, তাঁদের বোঝা উচিত কেন প্রতিবাদ করবেন বা সমর্থন করবেন। আগে এটা বোঝা দরকার।’’
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের সময় থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যত খড়্গহস্ত ছিলেন উদ্ধব-সহ শিবসেনা নেতৃত্ব। তার পরেও নানা ইস্যুতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধিতাই করে এসেছে সেনা। কিন্তু সিএএ কিন্তু মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর কার্যত বিজেপি তথা কেন্দ্রের সুরে তাঁর কথা বলা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy