নির্ভয়া কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মুকেশ সিংহ। —ফাইল চিত্র
২২ জানুয়ারি মৃত্যু পরোয়ানা কার্যকর করার রায় এখনও বহাল। কিন্তু তিহাড় জেল আবার নতুন করে ফাঁসির দিনক্ষণ নির্ধারণ করার আর্জি জানিয়েছে। সব মিলিয়ে নির্ভয়া কাণ্ডে চার অপরাধীর ২২ তারিখ ফাঁসি হবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। তার মধ্যেই সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ সিংহের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গতকাল রাতেই মুকেশের আর্জি খারিজ করার সুপারিশ করে রাষ্ট্রপতিকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
নিয়ম অনুযায়ী দিল্লি রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছিল মুকেশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক খারিজ করে উপ-রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছিল। উপ-রাজ্যপালও একই সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়েছেন। তার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পাঠায় রাষ্ট্রপতির কাছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘মুকেশ সিংহের প্রাণভিক্ষার আর্জি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ফের দিল্লির উপ-রাজ্যপালের সুপারিশ (প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ)একই রেখে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে পাঠানো হয়েছে।’’ তার পর আজ সকালেই সেই প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
গত ৭ জানুয়ারি দিল্লির দায়রা আদালত চার আসামীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে বলেছিল, ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় তিহাড় জেলে দোষীদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। তার পর সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনের আর্জি (কিউরেটিভ পিটিশন) জানায় দুই দণ্ডিত বিনয় শর্মা ও মুকেশ। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়।
তার পর প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায় মুকেশ। পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্টে মৃত্যু পরোয়ানা খারিজের আবেদনও করে মুকেশ। তার আইনজীবীদের বক্তব্য ছিল, প্রাণভিক্ষার আর্জি মঞ্জুর করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। তাই ২২ জানুয়ারি মৃত্যু পরোয়ানা রদ করা হোক। আবার দিল্লি সরকার আদালতে জানায়, সমস্ত আইনি বিকল্প শেষ হওয়ার পরেও ১৪ দিন সময় দিতে হয়। তাই ২২ জানুয়ারি মৃত্যু পরোয়ানা কার্যকর করা সম্ভব নয়। কিন্তু হাইকোর্ট সেই যুক্তি শোনেনি। বরং মৃত্যু পরোয়ানার মধ্যে কোনও গলদ নেই বলে জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নির্ভয়া মামলায় ফাঁসির নতুন দিন চাইল তিহাড়
আরও পড়ুন: প্যারোলে ছাড়া পেয়ে নিখোঁজ মুম্বই বিস্ফোরণের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ‘ডক্টর বম্ব’, ঘুম উড়েছে পুলিশের
অন্য দিকে আইন অনুযায়ী কোনও একটি ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির ফাঁসির সাজা হলে সবার ফাঁসি একসঙ্গে কার্যকর করতে হয়। অর্থাৎ একই দিনে ও একই সময়ে ফাঁসি দিতে হয়। কিন্তু নির্ভয়া কাণ্ডে মুকেশ ছাড়া আর কেউ প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy