স্বাগত: আগরতলা-আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে বিক্রম দোরাইস্বামীকে স্বাগত জানাচ্ছেন চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: বাপী রায়চৌধুরী।
ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশে দূতের দায়িত্ব পেয়ে তিনি গর্বিত বলে জানালেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। আজ ত্রিপুরা সীমান্তে আগরতলা-আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে যান বিক্রম ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা। বিক্রমই প্রথম হাইকমিশনার যিনি আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে গেলেন।
আজ বাংলাদেশে যাওয়ার আগে বিক্রম বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের গুরুত্ব অনেক। নৌ, রেল, সড়কপথ উন্নয়ন এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের দিকে নজর দেব।’’ দোরাইস্বামী জানান, চিকিৎসা-সহ জরুরি কারণের ক্ষেত্রে ভিসার ব্যবস্থা দ্রুতই করা হবে। তবে ভ্রমণ সংুক্রান্ত ভিসা বর্তমান পরিস্থিতিতে চালু করা উচিত কি না তা ভেবে দেখতে হবে।
বিতর্কিত মুহুরিচর এলাকা নিয়ে আজ দোরাইস্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বিধায়ক বাদল চৌধুরী। তিনি জানান, এই এলাকা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে একটি খসড়া চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু এখনও সমস্যা মেটেনি। দোরাইস্বামী বিষয়টি দেখবেন বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় পরীক্ষামূলক ভাবে সড়ক ও নদীপথে পণ্য আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই পথকে লাভজনক বলে মনে করছেন না ত্রিপুরার ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ত্রিপুরার ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে রফতানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর আর্জিও জানানো হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি প্রসঙ্গে দোরাইস্বামী বলেন, ‘‘বিষয়টি আমি জানি। ভারতে এখন পেঁয়াজ উৎপাদন কম। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশে রফতানির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।’’ দোরাইস্বামীর কথায়, ‘‘আমি বাংলা কিছুটা বুঝতে পারি। কিন্তু বলতে পারি না। শিখতে চাই। আগামী দিনে আপনাদের সঙ্গে বাংলায় কথা বলার ইচ্ছে রইল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy