ফের মোদীকে আক্রমণ রাহুলের।
প্রধানমন্ত্রীর সর্বশক্তিমান ভাবমূর্তিই দেশের জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছে, মন্তব্য কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সঙ্ঘাত নিয়ে লাগাতার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন তিনি। এ বার গোটা পরিস্থিতির জন্য নরেন্দ্র মোদীকে এবং তাঁর ভাবমূর্তিকেই দায়ী করলেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘‘ক্ষমতায় আসার জন্য মানুষের সামনে নিজের ভুয়ো সর্বশক্তিমান ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এত দিন সেটাই তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল। কিন্তু দেশের জন্য তাঁর এই ভাবমূর্তিই এখন সবচেয়ে বড় দুর্বলতায় পরিণত হয়েছে।’’
টুইটারে প্রায় দু’মিনিটের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। সেই টুইটেই প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে দেশের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেই সঙ্গে ওই ভিডিয়োয় লাদাখ পরিস্থিতি নিয়েও মন্তব্য করেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘আগে থেকে পরিকল্পনা না করে কোনও কাজ করে না চিন। নিজেদের মতো করে পৃথিবীর একটা নকশা ছকে ফেলেছে তারা। এখন পৃথিবীকে সেই আকার দেওয়ার চেষ্টাই করছে তারা। গ্বদর, বেল্ট অ্যান্ড রোড তাদের এই পরিকল্পনারই অংশ।’’
রাহুলের কথায়, ‘‘হোক দেমচক অথবা প্যাংগং হ্রদ, সুকৌশলে সর্বত্র নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাইছে চিন। আমাদের তৈরি রাস্তা ওদের চিন্তা বাড়িয়েছে। তাই ওই রাস্তাটিকে অপ্রয়োজনীয় বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে। আর যদি বড় ধরনের কোনও চিন্তাভাবনা থাকে ওদের, তাহলে আগামী দিনে পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে কাশ্মীরেও কিছু না কিছু করতে চাইবে।’’
PM fabricated a fake strongman image to come to power. It was his biggest strength.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 20, 2020
It is now India’s biggest weakness. pic.twitter.com/ifAplkFpVv
রাহুলের টুইট।
আরও পড়ুন: সচিনদের আবেদন আদালতের বিচার্য নয়, দাবি সিঙ্ঘভির
ভারত ও চিনের মধ্যে এই সঙ্ঘাতকে শুধুমাত্র সীমান্ত বিরোধ হিসেবে দেখা ঠিক হবে না বলেও মত রাহুলের। তিনি বলেন, ‘‘সীমান্ত বিরোধের নামে আদতে প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়ানোই লক্ষ্য চিনের। প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিতে আঘাত হানতে চাইছে ওরা। আসলে ওরা বুঝে গিয়েছে, সক্রিয় রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে হলে, যেন তেন প্রকারে ৫৬ ইঞ্চি ছাতির ভাবমূর্তি রক্ষা করতেই হবে নরেন্দ্র মোদীকে। এই ধারণার উপরেই আঘাত হানতে চাইছে চিন। আসলে ওরা বলতে চাইছে যে, আমাদের সুরে গলা না মেলালে নরেন্দ্র মোদীর সর্বশক্তিমান ভাবমূর্তি গুঁড়িয়ে দেব।’’
নিজের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্যই প্রধানমন্ত্রী চিনের সামনে নতি স্বীকার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘এখন প্রশ্ন হল, এই চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী কী করবেন? উনি কি রুখে দাঁডি়য়ে বলতে পারবেন যে, আমি প্রধানমন্ত্রী। ভাবমূর্তির পরোয়া করি না। নাকি চিনের সামনে নতিস্বীকার করবেন? কিন্তু আমার আশঙ্কা, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই নতিস্বীকার করেছেন। তাই চিন আমাদের ভূখণ্ডে বসে থাকা সত্ত্বেও উনি বলছেন কেউ নেই। এতেই বোঝা যায়, আসলে নিজের ভাবমূর্তিই নিয়েই যত মাথাব্যথা প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু এ ভাবে তাঁকে ব্যবহার করা যায়, চিনকে যদি এই বার্তা দিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী, তা হলে দেশের জন্য কাজ করছেন না উনি।’’
আরও পড়ুন: সিইএসসি নতুন বিল না পাঠানো পর্যন্ত টাকা দেবেন না, আবেদন বিদ্যুৎমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর ধারাবাহিক ভুল সিদ্ধান্ত এবং হঠকারিতার জন্যই ভারত দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে দু’দিন আগেই মন্তব্য করেন রাহুল। সীমান্তে চিনা আগ্রাসনের আসল তথ্য যাতে সামনে না এসে পড়ে, তার জন্য সংবাদমাধ্যমগুলিকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও সম্প্রতি মন্তব্য করেন তিনি। রাহুল বলেন, খুব শীঘ্রই এই বিভ্রম ভাঙবে এবং ভারতকে এর মূল্য চোকাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy