জট কাটল না আলোচনায়।
নয়া কৃষি আইন নিয়ে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় জট কাটল না। এ দিন বিজ্ঞান ভবনে বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি দু’পক্ষ। প্রথম দফার বৈঠকে বরফ না গললেও, সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের আলোচনার টেবলে বসবে উভয়পক্ষ।
পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড-সহ কয়েকটি রাজ্যের একাধিক কৃষক সংগঠনের মিলিত ভাবে ‘দিল্লি চলো’ অভিযান ঘিরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। মঙ্গলবার বিক্ষোভের ষষ্ঠ তম দিনে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিন বিজ্ঞান ভবনে বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর, কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী সোম প্রকাশ। কৃষক সংগঠনগুলির তরফে ৩৫ জনের একটি প্রতিনিধি দলও যোগ দেয় আলোচনায়। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে কৃষকদের বার্তা দেওয়া হয়, নয়া ৩ কৃষি আইন কোনও ভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না। তবে সরকারের তরফে কৃষকদের সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে। উল্টো দিকে ওই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা। তাঁরা ওই আইন পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই রফাসূত্র বেরোয়নি।
বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আলোচনা চলবে। আমি কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমরা ৩ ডিসেম্বর বেলা ১২টা নাগাদ ফের আলোচনায় বসব। বিক্ষোভে ইতি টানার জন্য আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।’’
আরও পড়ুন: কৃষকদের জন্য আমরা যা করেছি কেউ করেনি: মোদীকে ‘পাল্টা’ মমতার
আরও পড়ুন: নিজের কেন্দ্রেই বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে লকেট চট্টোপাধ্যায়
তবে বিক্ষোভে ছেদ টানার কোনও ইচ্ছাই দেখাননি কৃষকরা। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন তাঁরা। আগাম ব্যবস্থা হিসাবে দিল্লির সিঙ্গু এবং চিল্লা সীমানা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া লামপুর, আচণ্ডী সীমানাও বন্ধ। তার বদলে মুরারকা রোড এবং জিটিকে রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে যানবাহন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy