প্রতীকী ছবি।
হায়দরাবাদে তরুণীর গণধর্ষণ-খুন নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে গোটা দেশে। তারই মধ্যে জেলে ওই মামলার অভিযুক্তদের খাবারের মেনু সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশিত হতে বেড়েছে ক্ষোভ। হায়দরাবাদের চেরাপল্লী জেলে প্রথম রাতে যে ওই অভিযুক্তেরা ফ্রায়েড রাইস ও মাটন কারি খেয়েছে তা মেনে নিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষও।
হায়দরাবাদ কাণ্ডে চার অভিযুক্তের ঠিকানা আপাতত চেরাপল্লী কেন্দ্রীয় জেল। সেখানে প্রথম দিন রাতে অন্য বন্দিদের সঙ্গে তাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ফ্রায়েড রাইস-মাটন কারি। এই খবর সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ শুরু হয়। এক জন লেখেন, ‘‘এ কেমন দেশ যেখানে নাগরিকদের বড় অংশ ঠিক মতো খেতে পান না, খালি গায়ে রাস্তায় শুয়ে থাকেন। সেখানে এমন অপরাধে অভিযুক্তদের মাটন কারি-ফ্রায়েড রাইস খাওয়ানো হচ্ছে।’’ এই প্রসঙ্গে মুম্বই হামলায় যুক্ত জঙ্গি আজমল কসাবের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন আর এক জন। জেলের খাবার খেতে না পারায় কসাবকে বিরিয়ানি খাওয়ানো হতো।
জেল কর্তৃপক্ষ ওই মেনুর কথা মেনে নিয়েছেন। তবে তাঁদের যুক্তি, জেলে কবে কী খাবার দেওয়া হবে তা আগে থেকেই স্থির করা থাকে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রাতরাশ, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের মেনু স্থির করা হয়। আজ ওই চার অভিযুক্তকে হেফাজতে নিতে মেহবুবনগরের জেলা আদালতে আর্জি জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ধ্বংসের স্বীকৃতি রায়ে, অভিযোগ জমিয়তের
অন্য দিকে হায়দরাবাদ কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আরও বিতর্কে জড়ালেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তেলঙ্গানা রাজ্য পরিবহণ নিগমের কর্মীরা সম্প্রতি ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন। আজ তাঁদের এক অনুষ্ঠানে রাও বলেন, ‘‘সম্প্রতি পেশায় চিকিৎসক এক তরুণীকে খুন করা হয়েছে। এমন ঘটনা যারা ঘটায় তারা কি মানুষ? আমার প্রস্তাব, সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে পরিবহণ নিগমের মহিলা কর্মীদের রাতে কাজ করা বন্ধ হোক।’’ এই মন্তব্যের জেরে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে। নানা শিবির থেকে প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য কি তবে রাতে মহিলাদের সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে অক্ষম? মহিলা কর্মীদের মতে, রাতে কাজ করা বন্ধ করার অর্থ মহিলাদের কাজের সুযোগ আরও কমিয়ে দেওয়া।
নিরাপত্তা বাড়াতে হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার অঞ্জনী কুমারের তরফে মহিলাদের কয়েকটি পদক্ষেপ করার অনুরোধ করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। টুইটারে অনেক মহিলারই প্রশ্ন, সব পদক্ষেপ মহিলাদেরই করতে বলা হচ্ছে কেন? এক জন টুইটারে লিখেছেন, ‘‘মহিলারা সতর্কই থাকেন। পুলিশকে সংবেদনশীলতার সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ করতে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কি? তাহলে সেই নির্দেশিকা প্রকাশ করুন।’’ আর এক জনের বক্তব্য, ‘‘যারা এমন কাণ্ড ঘটায় তাদের ধর্ষণ করা বন্ধ করতে বলুন না।’’
অন্য দিকে এই ঘটনার জেরে বিপদ হলেই দ্রুত পদক্ষেপ করার বার্তা দিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। তারা জানিয়েছে, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পুলিশকে ফোন করলে সাত সেকেন্ডের মধ্যে পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy