Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Brajesh Thakur

মুজফফরপুর হোমে ধর্ষণ মামলায় দোষী ব্রজেশ ঠাকুর-সহ ১৯, সাজা ঘোষণা ২৮ জানুয়ারি

২০১৮ সালে প্রকাশ্যে আসে মুজফফরপুরের ‘সেবা সঙ্কল্প এবং বিকাশ সমিতি’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত ‘বালিকা গৃহ’ নামে ওই হোমের ঘটনা।

আদালতে দোষী সাব্যস্ত মূলচক্রী ব্রজেশ ঠাকুর। —ফাইল চিত্র

আদালতে দোষী সাব্যস্ত মূলচক্রী ব্রজেশ ঠাকুর। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:২৯
Share: Save:

নির্ভয়া ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে চার অপরাধীর ফাঁসির দিন ক্ষণ ঘোষণার পরেও আইনি টানাপড়েন চলছে। এর মধ্যেই বিহারের মুজফফরপুরের হোমে নাবালিকাদের ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির আদালত। অভিযুক্ত ২০ জনের মধ্যে ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রায় ঘোষণা হবে ২৮ জানুয়ারি সকাল ১০টায়।

২০১৮ সালে প্রকাশ্যে আসে মুজফফরপুরের ‘সেবা সঙ্কল্প এবং বিকাশ সমিতি’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত ‘বালিকা গৃহ’ নামে ওই হোমের ঘটনা। জানা যায়, সাত থেকে ১৭ বছর বয়স্ক ৩৪ জন নাবালিকাকে হোমে চটুল গানের সঙ্গে নাচতে বাধ্য করা হত। এমনকি মাসের পর মাস আটকে রেখে তাদের মাদক খাইয়ে ধর্ষণও করা হত। কয়েক জন নাবালিকাকে গর্ভপাতেও বাধ্য করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। নৃশংসতার বিবরণ শুনে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। আর তাতে অভিযুক্ত হিসাবে নাম উঠে আসে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থারই প্রধান ব্রজেশ ঠাকুরের।

অপরাধের মূলচক্রী ব্রজেশকে এ দিন পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লির ওই আদালত। ঘটনায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ নানা অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আট জন মহিলা। দোষীদের তালিকায় রয়েছেন বিহারের পিপলস পার্টির এক প্রাক্তন বিধায়কও। যে যে ধারায় অভিযোগ তাতে দোষীদের যাবজ্জীবন পর্যন্ত হতে পারে। যাঁরা সাক্ষী দিয়েছিলেন তাঁদের বয়ান ‘বিশ্বাসযোগ্য’ নয় বলে আদালতে আবেদন করেছিলেন ব্রজেশ। কিন্তু, গত শনিবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

আরও পড়ুন: পথে হল দেরি, মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না কেজরী

ব্রজেশ ঠাকুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি ছিল সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত। এই কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর তাতে রাজনৈতিক নেতা এবং আমলাদের নামও জড়িয়ে যায়। চাপে পড়ে, সে সময় পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বিহারের তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মঞ্জু শর্মা। কারণ, তাঁর স্বামীর সঙ্গে ব্রজেশের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিহার সরকার। শেষ পর্যন্ত তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে।

আরও পড়ুন: এক এক করে ফাঁসি দেওয়া হোক দণ্ডিতদের, বললেন নির্ভয়ার মা

২০১৭ সালে বিহারের হোমগুলি নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায় মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিস)। টিসের রিপোর্টেই মুজফফরপুরের ওই হোমে নাবালিকাদের উপর যৌন অত্যাচার চালানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের ৩১ মে ওই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বোর্ড তাদের রিপোর্টেও ৩৪ জন নাবালিকাকে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করে। ব্রজেশের হোম থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ১১ জন মহিলা। তাঁদের খুন করে দেহ লোপাট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তবে সিবিআই কোর্টে জানিয়ে দেয়, হোমের কোনও মেয়েকেই খুন করা হয়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy