মুম্বই হোটেলের বাইরে পুলিশের বাধার মুখে কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার। ছবি সৌজন্য টুইটার।
গলি থেকে রাজপথে কর্নাটকের নাটক। রাজনৈতিক সঙ্কট এমন পর্যায়ে যে, তা বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বই হয়ে একেবারে সুপ্রিম কোর্টের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল। স্পিকার রমেশ কুমারের বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক কাজের অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ বিধায়করা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে শুনানি হতে পারে।
এ দিকে, রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছেন বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। তাঁর সঙ্গে দখা করার পর ইয়েদুরাপ্পা বলেন, “নির্দল বিধায়ক-সহ ১৫ জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে জোট সরকারের বিধায়ক সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১০৩-এ। সেখানে আমাদের রয়েছে ১০৭-১০৮। রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানিয়েছি, এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করতে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার এখন কোনও নৈতিক অধিকার নেই কুমারস্বামীর।”
অন্য দিকে, কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, “রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। এই রাজনৈতিক সঙ্কটের জন্য বিজেপি দায়ী, এ কথা তাঁকে জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ রাজ্যপালের সঙ্গে আমাদের দেখা করতে দেয়নি।”
বুধবার সকালে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রবল বাধার মুখে পড়েন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার। জোট সরকারের হয়ে বুধবার সকালে মুম্বইয়ে বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শিবকুমার। মুম্বইয়ের যে হোটেলে বিধায়করা রয়েছেন সেখানে পৌঁছতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তিনি। তাঁকে আটক করা হয়।
নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে মুম্বই পুলিশকে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন বিধায়করা। সেই মতো এ দিন সকাল থেকেই হোটেলের সামনে কড়া নিরাপত্তা ছিল। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বুঝিয়ে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা যাঁরা করছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। কিন্তু হোটেলে পৌঁছতেই যে এমন বাধার মুখে পড়তে হবে সেটা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি তিনি।
শিবকুমার যখন হোটেলে ঢুকতে যান, এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে বলেন, “আমরা আপনাকে ভিতরে যেতে গিতে পারব না। কারণ আমাদের কাছে সেই অনুমতি নেই।” এ দিকে, শিবকুমারকে দেখামাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিধায়করা। হোটেলের বন্ধ গেটের ওপার থেকে শিবকুমারকে লক্ষ্য করে তাঁরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন: বাজেটে হিসেব গরমিলের অভিযোগ, অস্বস্তিতে কেন্দ্র
আরও পড়ুন: সব্যসাচীতে অনাস্থায় স্বাক্ষর মিলেছে ৩৫ জনের, বৈঠক ১৮ জুলাই
পুলিশের সঙ্গে বচসার সময় শিবকুমারকে বলতে শোনা যায়, এই হোটেলেই তাঁর একটি ঘর বুক করা আছে। তার পরেও কেন তাঁকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু পুলিশও নাছোড়। শিবকুমারকে বিধায়কদের দেওয়া চিঠির কথা জানিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। শিবকুমার পাল্টা পুলিশকে বলেন, “আমি কোথাও যাব না। ঢুকতে না দিলে সারা দিন এখানেই অপেক্ষা করব।” হোটেলে তাঁর কয়েক জন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং কফি খাবেন, পুলিশকে এমন কথা জানিয়েও নিরস্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ পাল্টা তাঁকে জনিয়ে দেয়, হোটেলে ঢুকতে দেওয়া হবে না, প্রয়োজনে পাশেই একটা গেস্ট হাউসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে তাঁকে। পাশাপাশি পুলিশ শিবকুমারকে জানিয়েছে, বিধায়করা যদি অনুমতি দেন, তবেই তাঁকে হোটেলে ঢুকতে দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী, শিবকুমার, অন্যান্য কংগ্রেস ও জেডিএস নেতাদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সোমবার রাতেই পুলিশকে চিঠি লেখেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। কুমরাস্বামী এবং শিবকুমার দলবল নিয়ে হোটেলে জোর করে ঢুকে পড়তে পারেন—এমন আশঙ্কার কথাও লিখে মুম্বই পুলিশ প্রধানকে চিঠি দেন ১০ বিধায়ক। সেই চিঠি পাওয়ার পরই ১০০ জন পুলিশ হোটেলের বাইরে মোতায়েন করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy