কমলেশ তিওয়ারি। ফাইল চিত্র।
হিন্দু মহাসভার প্রাক্তন নেতা কমলেশ তিওয়ারি খুনের চার দিন পর গুজরাত ও রাজস্থানের সীমানা এলাকা শামলাজি থেকে মঙ্গলবার আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কমলেশ খুনে এই নিয়ে গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল আট।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল আশফাক হুসেন এবং মইনুদ্দিন পাঠান। এরা দু’জনেই সুরাতের বাসিন্দা। পুলিশ মনে করছে, আশফাক ও মইনুদ্দিনই কমলেশ খুনের মূল চক্রী। কমলেশের বাড়ির সামনের সিসিটিভি ফুটেজে গেরুয়া কুর্তা পরা যে দু’জনের ছবি ধরা পড়েছিল, তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে সেই দুই ব্যক্তি এই আশফাক ও মইনুদ্দিন।
গত ১৮ অক্টোবর কমলেশকে খুন করে গা ঢাকা দিয়েছিল এই দু’জন। পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই আততায়ীর শেষ অবস্থান ধরা পড়েছিল শাহজাহানপুর বাসস্ট্যান্ডে। কিন্তু সেখান থেকেও পালিয়ে যায় তারা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই দু’জনকে খুঁজে বার করতে বেশ কয়েকটি বিশেষ দল গঠন করে। যোগাযোগ করা হয় গুজরাত ও মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গেও।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ বলেন, “পুলিশ হন্যে হয়ে খোঁজা শুরু করলে সেই চাপে পড়ে বার বার নিজেদের অবস্থান বদলাচ্ছিল এই দুই অভিযুক্ত। প্রথমে বরেলীতে, পরে শাহজাহানপুরে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে পুলিশ।” ডিজি আরও জানান, পুলিশের নাগাল থেকে নিজেদের বাঁচাতে কোনও একটা জায়গায় এক থেকে দু’ঘণ্টার বেশি থাকছিল না অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয়, কোনও ফোনও ব্যবহার করছিল না তারা।
আরও পড়ুন: সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত জম্মু-কাশ্মীরের আল-কায়দা শাখার প্রধান
আরও পড়ুন: দিল্লির কনট প্লেসে সাতসকালে পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধ দুষ্কৃতীদের
গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা আগেই জানিয়েছিল কমলেশকে খুনের পর আশফাক ও মইনুদ্দিন পশ্চিমের কোনও একটি রাজ্যেই আত্মগোপন করে আছে। সেই মতো মহারাষ্ট্র ও গুজরাতেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, টাকা-পয়সা ফুরিয়ে আসায় সুরাতে পরিবার এবং পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আশফাক ও মইনুদ্দিন। তক্কে তক্কে ছিল গুজরাত পুলিশও। এমন একটা কিছু হতে পারে অনুমান করে পুলিশও আশফাক ও মইনুদ্দিনের পরিবার ও পরিচিতদের উপর নজর রাখছিল। সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার শামলাজি থেকে এই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কমলেশ তিওয়ারি খুনের দু’দিনের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ থেকে পাঁচ জন এবং মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে এক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া আশফাক ও মইনুদ্দিনকে কিছুতেই নাগালে পাচ্ছিল না তারা। অবশেষে জাল বিস্তার করে এই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy