জ্যোতিরাদিত্যা সিন্ধিয়া।
দু’সপ্তাহ পরেই মধ্যপ্রদেশে রাজ্যসভা নির্বাচন। প্রার্থী হয়েছেন সদ্য কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আজ সেই জ্যোতিরাদিত্যকে নিয়েই জল্পনা ছড়াল যে, সম্মান না মেলায় বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন তিনি। আর সেই কারণেই নাকি নিজের টুইটার প্রোফাইল থেকে ‘বিজেপি’ শব্দটি সরিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়, দিল্লির রাজনৈতিক মহলেও চর্চা শুরু হয়ে যায়। বিকেলে নিজেই টুইট করে জ্যোতিরাদিত্য দাবি করেন, সব ভুয়ো খবর। তিনি বিজেপিতেই আছেন।
মার্চে বিজেপিতে যান জ্যোতিরাদিত্য। তাঁর সঙ্গেই দল ছাড়েন ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক। ফলে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে কমল নাথ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির শিবরাজ সিংহ চৌহান। তবে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ এখনও করে উঠতে পারেননি তিনি। সূত্রের মতে, তাঁর শিবিরের একাধিক বিধায়ককে মন্ত্রী করার দাবিতে অনড় রয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য। ওই দাবি মানতে গেলে বিশ্বস্ত বিজেপি বিধায়কদের মন্ত্রিত্ব দেওয়া যে সম্ভব হবে না, তা বুঝতে পারছেন শিবরাজ। সেই কারণে রাজ্যসভা নির্বাচনের পরেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বিজেপি সূত্রের মতে, ওই রাজ্যে তিনটি আসনে ভোট হবে। দু’টিতে বিজেপির জয় নিশ্চিত জেনেও কংগ্রেস দু’জন প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। যার অর্থ, কংগ্রেস যেন-তেন ভাবে বিজেপি বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করবে। নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভার বিস্তার হলে মন্ত্রিত্ব না-পাওয়া ক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়করা দলের হুইপের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। যাতে পরোক্ষে সুবিধা হবে কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা দিতে হলে কোয়রান্টিনে থাকতেই হবে, জানাল ওড়িশার বিশ্ববিদ্যালয়
এর মধ্যেই আজ জল্পনা ছড়ায়, তিন মাসেই বিজেপির কাজকর্মে ক্ষুব্ধ জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেসে ফেরার পরিকল্পনা করেছেন। সে কারণে তিনি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত পরিচিতি থেকে ‘বিজেপি সদস্য’ শব্দবন্ধটি সরিয়ে দিয়েছেন। পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে জ্যোতিরাদিত্য টুইট করে জানান, ‘‘ভুয়ো খবর সত্যের চেয়ে দ্রুত ছড়ায়। আমার টুইটারে ব্যক্তিগত পরিচিতিতে পরিবর্তন হয়নি। একটি ছবি পাল্টেছে। মানুষের গুজবে কান দেওয়া উচিত নয়।’’
বিজেপি শিবিরের দাবি, রাজ্যসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই গুজব ছড়িয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া বিধায়কদের বিভ্রান্ত করতেই গুজব ছড়ানো হয়েছে। যদিও বিষয়টি বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy