মানবাধিকার কর্মী গৌতম নওলাখা।
মানবাধিকার কর্মী গৌতম নওলাখার বিরুদ্ধে এফআইআর প্রত্যাহারের আবেদনের মামলা শুনবেন না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্ট। নওলাখার বিরুদ্ধে ভীমা কোরেগাঁওয়ে সন্ত্রাস ছড়ানো ও মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ এনেছে পুণের পুলিশ। বিচারপতি ভট্ট হলেন সুপ্রিম কোর্টের পঞ্চম বিচারপতি, যিনি এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি চাইলেন।
ভীমা কোরেগাঁওয়ের ঘটনার পরে তাঁর বিরুদ্ধে আনা এফআইআর তুলতে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নাওলাখা। এফআইআরে অভিযোগ করা হয়, ওই মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে মাওবাদীদের যোগসাজশ রয়েছে। তবে নওলাখার আর্জি শুনে এফআইআর প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। নওলাখা এর পর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। সোমবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তার পরে বিষয়টি যখন বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি ও বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চের সামনে আসে, ওই তিন বিচারপতিই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। এর পরে আজ বিচারপতি ভট্টও এই মামলা থেকে অব্যাহতি চাইলেন। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য জানিয়েছে, নওলাখার মামলা আগামিকালই শোনা হবে। কারণ, নওলাখার গ্রেফতার আটকাতে বম্বে হাইকোর্টের সুরক্ষা কবচের মেয়াদ আগামিকালই শেষ হচ্ছে।
ভীমা কোরেগাঁওয়ের ঘটনার পরে মাওবাদীদের সঙ্গে নওলাখার যোগাযোগের অভিযোগ এনে বম্বে হাইকোর্টে কিছু তথ্যপ্রমাণ দাখিল করেছিল পুণের পুলিশ। সিপিআই(মাওবাদী) নেতাদের সঙ্গে তাঁর চিঠিপত্রের লেনদেন, ভারতে বিপ্লবের রণকৌশল সংক্রান্ত লেখালেখি ছাড়াও বন্ধ খামে আরও কিছু তথ্য হাজির করে পুলিশ। হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে তাদের মনে হচ্ছে, নওলাখাকে নিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। তবে গোটা বিষয়টিই প্রাথমিক ভাবে তাঁদের মনে হওয়ার পর্যায়েই রয়েছে এবং বিষয়টি শীর্ষ আদালতের বিচারে প্রভাব পড়ার মতো কিছু নয় বলেই তারা জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার জন্য ওই মানবাধিকার কর্মীর গ্রেফতারির উপর রক্ষাকবচ তিন সপ্তাহ বাড়িয়েও দিয়েছিল হাইকোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy