নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় সেনার তৎপরতা— ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ফের পাক সেনার হানায় রক্ত ঝরল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে উত্তর কাশ্মীরের বারামুলায় উরি সেক্টরে পাক বাহিনীর ধারাবাহিক গুলি এবং মর্টার হামলায় এক বিএসএফ সাব-ইনস্পেক্টর এবং ৪ সেনা জওয়ান নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে মোট ৬ গ্রামবাসীও নিহত হয়েছেন। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও কয়েক জন।
শুক্রবার সকালে উরি সেক্টরের গাজি পির এলাকাতে দু’তরফের গুলির লড়াই হয়। বন্দিপোরা জেলার গুরেজ সেক্টরে এবং কূপওয়াড়া জেলার কেরন সেক্টরেও পাক হামলার জবাবে গুলি এবং মর্টার শেল ছোড়ে ভারতীয় বাহিনী।
জম্মুর পুঞ্চের সজিয়াঁতেও সংঘর্ষ বিরতি ভেঙে হামলা চালায় পাক বাহিনী। সেখানে জখম হয়েছেন ৭ গ্রামবাসী। ভারতীয় সেনা এবং বিএসএফের তরফে পাক হামলার ‘জবাব’ দেওয়া হয়।
#WATCH | 7-8 Pakistan Army soldiers killed, 10-12 injured in the retaliatory firing by Indian Army in which a large number of Pakistan Army bunkers, fuel dumps, and launch pads have also been destroyed: Indian Army Sources pic.twitter.com/q3xoQ8F4tD
— ANI (@ANI) November 13, 2020
আরও পড়ুন: সাত দশকের মধ্যে দ্বিতীয় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে অ্যারিজোনা জয় বাইডেনের
সেনা সূত্রের খবর, পাল্টা হামলায় বেশ জনা দশেক পাক সেনা ও জঙ্গি নিহত হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর গোলায় পাক বাঙ্কার এবং জ্বালানি ট্যাঙ্ক ধ্বংসের একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করা হয়েছে। সেনার দাবি, শীতের আগে কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিতেই হামলা চালিয়েছে পাক ফৌজ।
আরও পড়ুন: রাওলিংয়ের হ্যারি পটার উপন্যাসের সলাজারের সাপ মিলল অরুণাচলে
গত শনিবার একই কায়দায় নিয়ন্ত্রণরেখায় মছিল সেক্টরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ‘পথ’ তৈরির উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিল পাক বাহিনী। ওই ঘটনায় এক বিএসএফ জওয়ান এবং তিন সেনা নিহত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর উরির সেনা ঘাঁটিতে অনুপ্রবেশকারী পাক জঙ্গিদের হামলায় ১৯ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy