Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪
National News

এ বার ট্রেন লেট হলেই ক্ষতিপূরণ! প্রবণতা ভেঙে তেজস এক্সপ্রেসে চালু করছে আইআরসিটিসি

আগামী ৪ অক্টোবর থেকে দিল্লি-লখনউয়ের মধ্যে চালু হচ্ছে দ্রুতগতির তেজস এক্সপ্রেস। দু’টি তেজস এক্সপ্রেস চালানোর দায়িত্ব পেয়েছে আইআরসিটিসি। সেই দু’টি ট্রেনেই এই ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে সংস্থা। অর্থাৎ ট্রেন এক ঘণ্টার বেশি দেরিতে পৌঁছলেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

তেজস এক্সপ্রেস এক ঘণ্টার বেশি দেরিতে পৌঁছলে মিলবে ক্ষতিপূরণ।

তেজস এক্সপ্রেস এক ঘণ্টার বেশি দেরিতে পৌঁছলে মিলবে ক্ষতিপূরণ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৫১
Share: Save:

দূরপাল্লার ট্রেন যাত্রায় এক-দু’ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছনো গা সওয়া হয়ে গিয়েছে যাত্রীদের। কিন্তু এ বার কিছুটা হলেও এই প্রবণতায় পরিবর্তন আনতে চলেছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)। রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থার হাত ধরেই দেশের মধ্যে প্রথম দেরিতে ট্রেন পৌঁছনোর জন্য ক্ষতিপূরণ মিলবে যাত্রীদের। আপাতত চালু হচ্ছে আপ ও ডাউন তেজস এক্সপ্রেসে

আগামী ৪ অক্টোবর থেকে দিল্লি-লখনউয়ের মধ্যে চালু হচ্ছে দ্রুতগতির তেজস এক্সপ্রেস। দু’টি তেজস এক্সপ্রেস চালানোর দায়িত্ব পেয়েছে আইআরসিটিসি। সেই দু’টি ট্রেনেই এই ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে সংস্থা। অর্থাৎ ট্রেন এক ঘণ্টার বেশি দেরিতে পৌঁছলেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

ক্ষতিপূরণের অঙ্ক কেমন? আইআরসিটিসি সূত্রে খবর, ট্রেন এক ঘণ্টার বেশি দেরিতে পৌঁছলে ১০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। দু’ঘণ্টার বেশি দেরি হলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হবে ২৫০ টাকা। এ ছাড়া ট্রেনের মধ্যে জিনিসপত্র খোয়া গেলে বা চুরি-ডাকাতি হলে বিমার ব্যবস্থাও থাকছে। টিকিটের সঙ্গেই সেই বিমা যুক্ত হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে বিমার অঙ্ক ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: আমি আশ্বস্ত করতে এসেছি, কোনও শরণার্থীকে ভারত ছাড়তে হবে না, বললেন অমিত শাহ

আরও পড়ুন: রাজীবের কাছে ‘হার’ সব দিকেই, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই

আইআরসিটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ট্রেনের ভাড়া ধার্য করা হবে শতাব্দী এক্সপ্রেসের হারে। বিমা এবং দেরির ক্ষতিপূরণ ছাড়া ট্রেনের অভ্যন্তরেও কিছু পরিবর্তন আনা হতে পারে। ট্রেনের মধ্যে হকারদের যাতায়াত কমানোর জন্য টি ভেন্ডিং মেশিন বসানো হতে পারে। এ ছাড়া টয়লেটের সংখ্যা কমানোর চিন্তা-ভাবনাও চলছে বলে সংস্থার একটি সূত্রে খবর। এ ক্ষেত্রে সংস্থার যুক্তি, বিমানে ১৫০ যাত্রীর জন্য যদি মাত্র তিনটি টয়লেটে কাজ চলে, তা হলে ট্রেনে কম যাত্রীর জন্যও এত বেশি টয়লেট কেন প্রয়োজন হবে। ট্রেনের একটি কামরায় ৭০ থেকে ৭৫টি সিট থাকে। সেক্ষেত্রে টয়লেটের সংখ্যা কমিয়ে সেখানে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের অন্য কোনও বন্দোবস্ত করা যেতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

IRCTC Tejas Express Compensation Insurance
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE