ছবি: এএফপি।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে তালাবন্দি চিনের হুবেই প্রদেশ তথা উহান শহর থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে দু’টি বিমান পাঠানোর জন্য চিনা সরকারের অনুমতি চাইল দিল্লি। অন্য দিকে করোনাভাইরাস আতঙ্কের জেরে চিনগামী কয়েকটি বিমান চলাচল আপাতত কয়েক দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া।
আজ ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানান, হুবেই থেকে ভারতীয়দের সরাতে দু’টি বিমান পাঠানোর অনুমতি চেয়েছে দিল্লি। তালাবন্দি উহান শহর তথা হুবেইবাসী যে সব ভারতীয় এখনও বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি তাঁদের দ্রুত হটলাইন নম্বর বা নির্দিষ্ট ই-মেল আইডি-তে যোগাযোগ করারও অনুরোধ করেছেন রবীশ। বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস ইতিমধ্যেই দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের একটি তালিকা তৈরি করেছে। ভারতে ফেরার পরে তাঁদের কোনও একটি নির্দিষ্ট শহরে ১৪ দিন আলাদা করে রাখা হবে। আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াও তাদের নাগরিকদের উহান তথা হুবেই থেকে সরাতে উদ্যোগী হয়েছে। পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে চিন।
অন্য দিকে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ইন্ডিগোর বেঙ্গালুরু-হংকং উড়ান বন্ধ থাকবে। দিল্লি-চেংদু উড়ান বন্ধ থাকবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দিল্লি-সাংহাই উড়ান বন্ধ রাখবে এয়ার ইন্ডিয়া। তবে কলকাতা-গুয়াংঝাও উড়ান আপাতত চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিগো। তবে সেই উড়ানে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে, যে সব পাইলট-বিমানকর্মীরা চিনে যাচ্ছেন তাঁদের দ্রুত ফিরতি বিমানে ভারতে ফেরানো হচ্ছে। তাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরগামী বিমানের কর্মীদের সব সময়ে জীবাণু প্রতিরোধকারী এন-৯৫ মুখোশ পরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইন্ডিগো। তবে বিমান ওড়ার সময়ে মুখোশ পরবেন না কর্মীরা। সেইসঙ্গে পূর্ব এশিয়ার শহরগুলিতে প্রকাশ্য স্থান এড়িয়ে চলা, যে কোনও দোকান থেকে মাংস কেনা, কাঁচা মাংস কেনার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বারবার হাত ধুতেও নির্দেশ দিয়েছে সংস্থা। জীবাণু প্রতিরোধকারী মুখোশ পরে থাকার নির্দেশ জারি করেছে এয়ার ইন্ডিয়াও।
আরও পড়ুন: ‘দেশ-বিরোধী’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ নয়, পড়ুয়াদের ফরমান আইআইটি বম্বের
ইন্ডিগো জানিয়েছে, চিন থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার জেরে দিল্লি-চেংদু উড়ানে সফর বাতিল করেছেন অনেকে। ফলে সাময়িক ভাবে ওই উড়ান বন্ধ রাখা হয়েছে। যে যাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাঁদের টিকিটের দাম ফেরত দেবে সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy