ছবি: রয়টার্স।
দু’দিন পরেই মস্কোয় সাংহাই সহযোগিতা সংগঠন (এসসিও)-এর বৈঠকে মুখোমুখি হওয়ার কথা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র। অতিমারি চলাকালীন এই প্রথম দু’দেশের বিদেশমন্ত্রী সামনাসামনি বসবেন সীমান্ত নিয়ে স্নায়ু টানটান সংঘাতের আবহে। তবে কূটনৈতিক শিবিরের মতে, মস্কো থেকে ভারত-চিনের সমাধানসূত্র আবিষ্কার বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় জট কাটার সম্ভাবনা প্রায় নেই। কারণ সমস্যাটি নেহাতই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কূটনৈতিক স্তরের নয়, সরাসরি সেনা অভিযান এবং সীমান্তের ভূখণ্ডের জমি দখল সংক্রান্ত। আপাতত নভেম্বর পর্যন্ত লাদাখে সেনা মোতায়েন রাখা ও বাড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত। সে ক্ষেত্রে মারাত্মক শৈত্য ও প্রাণঘাতী শীতল হাওয়াকেও হিসাবের মধ্যে রাখা হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
তবে আপাতত, চিনের পক্ষে গত এক সপ্তাহে কূটনৈতিক স্তরে যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে বলেই দাবি করছে বিদেশ মন্ত্রক। রাশিয়ার নেপথ্য প্রয়াসের ফলে গত সপ্তাহে মস্কোয় কথা হয়েছে দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। গত মাসের শেষে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে তিনটি গিরিচূড়ায় আক্রমণাত্মক চিনের সেনাকে পিছু হটিয়ে ভারতীয় সেনা নিজেদের তাঁবু গাড়ায় বেজিং কিছুটা চাপে রয়েছে বলে দাবি সাউথ ব্লকের। কিন্তু মুখ খোলেনি বেজিং। পাশাপাশি, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে লালফৌজ কমানো অথবা ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোনও চিহ্ন এখনও দেখা যায়নি।
অনেকে বলছেন, পিএলএ-র আক্রমণাত্মক ভূমিকা নভেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টির যোগ রয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে। ‘হাউডি মোদী’ ও ‘নমস্তে ট্রাম্প’ খ্যাত নরেন্দ্র মোদী-ট্রাম্পের বহুবিজ্ঞাপিত সংযোগ বেজিং-এর ক্রমবর্ধমান উষ্মার কারণ। আমেরিকায় জমানা বদলে তাদের চিন-নীতি বা ভারত নীতিতে কোনও বদল আসে কি না, দেখতে চায় বেজিং।
আরও পড়ুন: ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ না করে বাজারে কোভিড টিকা নয়, জানাল তিন মার্কিন ওষুধ কোম্পানি
চিনের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকটির আগে প্রকাশিত হয়েছে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বিদেশনীতি সংক্রান্ত বই ‘দ্য ইন্ডিয়া ওয়ে’। সেখানেও চিন নিয়ে নরমে গরমে চলার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ভারত-চিনের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক এবং সীমান্ত বিবাদ— এই দুইকে পৃথক করা অসম্ভব। তাঁর কথায়, দু’দেশের সমস্যার অন্যতম কারণ চিনের তিব্বত নীতি। চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে আলোচনা চালানো প্রয়োজন, এ কথা জানিয়ে জয়শঙ্করের মন্তব্য— বেজিং একতরফা ভাবে সীমান্তের স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করতে চাইলে তা অবশ্যই আটকাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy