Advertisement
০৯ নভেম্বর ২০২৪
Electricity Bill

দরিদ্র পরিবারের এক মাসের বিদ্যুতের বিল ১২৮ কোটি টাকা!

প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি শামিম। সম্বিৎ ফিরলে ছুটে যান বিদ্যুৎ দফতরে।

নিজের বাড়িতে শামিম। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

নিজের বাড়িতে শামিম। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ১০:২২
Share: Save:

টানাটানির সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় দশা। অথচ তাঁদের এক মাসের বিদ্যুতের বিল এসেছে ১২৮ কোটি টাকার, যা প্রায় একটা গোটা শহরের বিলের সমান। তা দেখে মাথায় হাত উত্তরপ্রদেশের একটি পরিবারের।

রাজধানী দিল্লি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে, উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলার চামরি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। সপরিবারে সেখানে বাস শামিম নামের এক ব্যক্তির। কষ্টেশিষ্টে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছিলেন। তাতেই এই পরিণতি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শামিম জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে ২ কিলোওয়াটের বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। আলো-পাখা মিলিয়ে প্রতি মাসে ৭০০ টাকার মতো বিল আসে। কিন্তু সম্প্রতি বিল হাতে পেয়ে চোখ কপালে ওঠে তাঁর। তাতে ১২৮ কোটি ৪৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৪৪ টাকা মেটাতে বলা হয়।

এই বিলই হাতে পান ওই ব্যক্তি। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

আরও পড়ুন: খড়কুটো থেকে জ্বালানী! কৃষকদের আয় বাড়িয়ে চমকে দিলেন পঞ্জাবের এই এমবিএ​

শামিমের দাবি, প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। সম্বিৎ ফিরলে ছুটে যান বিদ্যুৎ দফতরে। হিসাবে কোথাও ভুল হয়েছে বলে জানান। কিন্তু তাঁর কথা কানে তোলেননি কেউ। ওই টাকা মেটানোর সামর্থ্য ছিল না তাঁর। তাই টাকা জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন পেরিয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে শামিম জানান, “কেউ আমাদের কথা শুনছে না। এত টাকা কী করে দিই বলুন তো? শুধু আলো-পাখা ব্যবহার করি আমরা। তাতে এত বিল হয় কী করে? মনে হচ্ছে, গোটা হাপুরের বিলই পাঠিয়ে দিয়েছে। অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিল না মেটালে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিদ্যুত্ দফতর।’’

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরে যোগাযোগ করা হলে, তাদের ইঞ্জিনিয়ার রাম শরণ বলেন, “সম্ভবত প্রযুক্তিগত ভুল হয়েছে। এটা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। আকছার হয়েই থাকে। বিলটি হাতে পেলে, সবকিছু খতিয়ে দেখব আমরা। ভুল হয়ে থাকলে, তা সংশোধন করে নতুন বিল দেওয়া হবে ওই পরিবারকে।”

আরও পড়ুন: চাঁদে এখন না নামলে পরে খুবই পস্তাতে হত ভারতকে!​

এর আগে, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন কনৌজের বাসিন্দা আবদুল বসিত। বাড়িতে ২ কিলোওয়াটের বিদ্যুৎ সংযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ২৩ কোটির বিল ধরানো হয়। আট লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল পেয়ে গত বছর মে মাসে আত্মহত্যা করেছিলেন মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গাবাদের এক সবজি বিক্রেতা। সেই ঘটনায় গাফিতলিত অভিযোগে বিদ্যুৎ দফতরের অ্যাকাউন্ট অ্যাসিস্ট্যান্টকে সাসপেন্ড করা হয়।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

Electricty Bill Uttar Pradesh Yogi Adityanath
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE