প্রতীকী ছবি
লাদাখে চিনের সঙ্গে টানাপড়েন চলছেই। সেইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানি সেনা সমাবেশের কথা জানিয়েছেন খোদ সেনার ১৫ নম্বর কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি রাজু। তারই মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের দুই নির্দেশে ফের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে উপত্যকায়।
প্রথম নির্দেশে উপত্যকায় দু’মাসের জন্য রান্নার গ্যাসের মজুত নিশ্চিত করতে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনকে লেখা প্রশাসনের চিঠিতে উপরাজ্যপালের পরামর্শদাতা ফারুক খানের সঙ্গে অন্য প্রশাসনিক কর্তাদের একটি বৈঠকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বারবার ধসের জন্য জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হতে পারে বলে ওই বৈঠকে জানিয়েছেন ফারুক। তাই তেল সংস্থার গুদাম ও বটলিং প্ল্যান্টে দু’মাসের জন্য প্রয়োজনীয় রান্নার গ্যাস মজুত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সাধারণত শীতের শুরুতে, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে জম্মু-শ্রীনগর সড়কে যান চলাচলের সমস্যা হয়। তখন এই ধরনের পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। খাদ্য ও গণবন্টন দফতরের অধিকর্তা বশির আহমেদের মতে, এটা একেবারেই ‘রুটিন’ নির্দেশ। সরকারি সূত্রে অবশ্য জানানো হচ্ছে, লাদাখ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। সেনার যাতায়াতের জন্য জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হতে পারে।
দ্বিতীয় নির্দেশে আধাসেনার জন্য আইটিআই ও স্কুল-সহ ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছে গান্ধেরবাল জেলার পুলিশ। অমরনাথ যাত্রার জন্যই সেখানে বাড়তি আধাসেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কিন্তু এই দুটি নির্দেশের ফলে কাশ্মীরে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। কারণ জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ ও পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের আগেও এই ধরনের কিছু নির্দেশ জারি হয়েছিল। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, গান্ধেরবাল কার্গিলের পাশের জেলা। লাদাখে যাওয়ার পথ গিয়েছে এই জেলার মধ্যে দিয়েই। আবার করোনা অতিমারির ফলে অমরনাথ যাত্রা হলেও তা তেমন ধুমধাম করে হবে না। ফলে পুলিশের নির্দেশ নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখায় এ বার মার্শাল আর্ট ফাইটার আনছে চিন
এই উদ্বেগ নিয়ে এ দিন সরব হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সরকারি নির্দেশে কাশ্মীরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। গত বছরে আমাদের এত মিথ্যে বলা হয়েছে যে সরকারি ব্যাখ্যা বিশ্বাস করাও কঠিন। তবে তা সত্ত্বেও সরকারকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।’’ ‘রুটিন’ পদক্ষেপের পরে বারবার জরুরি পরিস্থিতি দেখেছে কাশ্মীর। তাই আশ্বাস মানতে নারাজ উপত্যকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy