প্রতীকী ছবি।
করোনা অতিমারি থেকে ঠেকে শিক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যখাতে খরচ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এই প্রথম অর্থ কমিশন তার সুপারিশে স্বাস্থ্যখাতে খরচ ও বরাদ্দ বাড়ানো নিয়ে একটি পৃথক অধ্যায় রাখবে। এন কে সিংহের নেতৃত্বে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন আজ বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ঠিক হয়েছে, স্বাস্থ্য বিষয়ে অর্থ কমিশনের উচ্চপর্যায়ের গোষ্ঠী বিশ্ব ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সুপারিশ জানাবে।
করোনা মোকাবিলায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক ভারতের জন্য ১০০ কোটি ডলার অর্থসাহায্য ঘোষণা করেছিল। নরেন্দ্র মোদী সরকারও বরাদ্দ করেছ ১৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, অতিমারি দেখিয়ে দিয়েছে, স্বাস্থ্যকে আরও অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। আজকের বৈঠকে তাই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ভারতে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাঙ্কের কান্ট্রি ডিরেক্টর জুনেদ আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কোনও প্রকল্প নিলে রূপায়ণের ভার রাজ্যগুলির উপরেই পড়বে। তাই বিশ্ব ব্যাঙ্ক রাজ্য ভিত্তিক সমাধান বাতলানোর চেষ্টা করবে। তিনি অর্থ কমিশনকে তিন দিক থেকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে খরচের দিকটি দেখার
কথা বলেন। এক, মাথা পিছু খরচে কতখানি অনুদান। দুই, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে মোটা অঙ্কের অনুদান। তিন, কাজ অনুযায়ী উৎসাহ ভাতা।
বৈঠকে নীতি আয়োগের সদস্য বিনোদ পল বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়েই স্বাস্থ্য খাতে খরচ বাড়াতে হবে। কারণ, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে রাজ্যের খরচই ৬৫ শতাংশ, কেন্দ্রের ৩৫ শতাংশ। ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের সিইও ইন্দু ভূষণের যুক্তি, লকডাউনের ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলির আয় কমেছে, খরচ বেড়েছে। তাদেরও সাহায্য দরকার। তাঁর প্রস্তাব, সংবিধানে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তালিকায় স্বাস্থ্যকে নিয়ে আসা হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy