তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাজধানীর উপকণ্ঠে কৃষক বিক্ষোভ ১৮ দিনে পড়ল। ফাইল চিত্র:পিটিআই।
ক্রমেই ঝাঁঝ বাড়ছে কৃষক বিক্ষোভের।
তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাজধানীর উপকণ্ঠে কৃষক বিক্ষোভ ১৮ দিনে পড়ল। রবিবার সকালে দিল্লি-জয়পুর জাতীয় সড়কে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের বিশাল মিছিল শুরু হয়েছে। আগামী কাল, সোমবার কৃষকদের অনশন কর্মসূচি রয়েছে। কৃষকদের ৩২টি সংগঠনের সদস্যরা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনশনে বসবেন। তেমনই একটি সংগঠন বিকেইউ (চাডাউনি)-র প্রেসিডেন্ট গুরমিত সিংহ চাডাউনি বলেছেন, ‘‘১৯ ডিসেম্বর থেকে আমি আমরণ অনশনে বসব। এ দিনই নবম গুরু তেগ বাহাদুরের শহিদ হওয়ার দিন। এই দিন থেকে আমি আমরণ অনশন শুরু করতে চাই।’’
রবিবার দিল্লি-সিঙ্ঘু সীমানায় এক কৃষক বলেন, ‘‘শনিবার রাতে আমরা উপস্থিত হয়েছি। রাজস্থান, হরিয়ানা, পঞ্জাব থেকে আরও অনেক কৃষক আসছেন। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কৃষকদের নিয়ে কম করে ৫০০টি ট্রলি আসার কথা।’’
সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, জাতীয় সড়ক যাতে বেশি ক্ষণ অবরুদ্ধ না থাকে, সে জন্য সেখান থেকে কৃষকদের সরাতে ৪ হাজার পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুগ্রাম পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এই বিক্ষোভ কোনও ভাবেই যাতে বড় আকার নিতে না পারে, সেই চেষ্টা আমরা করব।’’
আরও পড়ুন: চাপে ফের কেন্দ্র আলোচনার রাস্তায়
শনিবার কৃষকেরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করবেন ভেবে বিরাট নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তার বদলে কর্মসূচি অনুযায়ী কৃষক সংগঠনগুলি পঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে তেলঙ্গানা, ওড়িশার মতো বিভিন্ন রাজ্যের টোল প্লাজা দখল করে টোল আদায় বন্ধ করে দেন। অম্বানী-আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কর্মসূচি মেনে অনেক জায়গায় রিলায়্যান্সের পেট্রল পাম্পের সামনে অবরোধ হয়।
ইতিমধ্যেই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে একটি সংগঠন। আগামী বুধবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে তার শুনানি। কৃষিমন্ত্রক দাবি করেছে, হরিয়ানার একগুচ্ছ সংগঠন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের সঙ্গে দেখা করে নয়া আইন তৈরির জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে। কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনকারী নেতাদের দাবি, এ সব বিজেপির সাজানো।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের জাতীয় সঙ্গীত এ বার বদলাতে চান স্বামী
এরই মধ্যে, ক্রমবর্ধমান কৃষক বিক্ষোভে রাশ টানতে বিজেপি-র অন্দরমহল থেকেও চাপ তৈরি হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে পারে মোদী সরকার। শনিবার প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। বলেছিলেন, এই কৃষি আইনের ফলে কৃষকরা উপকৃত হবেন। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy