ছবি: পিটিআই।
চলতি বছরে বিহার ভোট এবং উত্তরভারতের উপনির্বাচনগুলির আগেকেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধিতার অস্ত্রকে প্রতিটি সুযোগেই ব্যবহার করে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। দলীয় সূত্রের খবর, আগামী দিনেও কৃষক স্বার্থের দিকটিকে সামনে রেখে গোটা দেশে প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। সংসদে কৃষি বিল পাশ করানোর সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু তারপর পঞ্জাবের মাটিতে দাঁড়িয়ে দু’সপ্তাহ আগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তিনি। আজও ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, “কেন্দ্রের এই আইন তিনটি দেশের ভিতকে দুর্বল করছে।” কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এই আইন প্রত্যাহার করা হবে বলে ফের আশ্বাস দেন তিনি। রাহুল বলেন, “কৃষি সংক্রান্ত এই তিনটি আইন দেশের প্রত্যেকটি কৃষকের পাঁজরে আঘাতস্বরূপ। তাঁদের ঘাম-রক্ত ঝরানো শ্রমকেও আহত করবে এই আইন।”
সংসদের সর্বশেষ বাদল অধিবেশনে কৃষি বিল পাশ হওয়ার পর সম্মিলিতভাবে বিরোধীদের কৌশল স্থির হয়, যে যার রাজ্যে নিজেদের মতো করে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। অক্টোবরের গোড়াতে পঞ্জাবের মাটিতে দাঁড়িয়ে ট্রাক্টর র্যালির উদ্বোধন করে রাহুল অভিযোগ এনেছিলেন, কয়েকজন বাছাই করা শিল্পপতির স্বার্থরক্ষায় গোটা দেশের কৃষকদের ধ্বংস করছে মোদী সরকার। কোনও রাখঢাক না-করে মোদী সরকারকে ‘আদানি অম্বানী সরকার’ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন তিনি। আজ তাঁর কথায়, “আমি কয়েকদিন আগেই পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় এসেছিলাম। এখানকার প্রত্যেকটি কৃষক এবং শ্রমিক জানেন, এই তিনটি আইন কীভাবে তাঁদের আক্রমণ করছে।”
আগামী সোমবার পঞ্জাব বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসছে রাজ্যের পাল্টা কৃষি আইন করতে। তার আগে পঞ্জাব তথা গোটা দেশের কৃষকদের বার্তা দিতে চেয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন্দ্রের এই আইনগুলি যদি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভেবেই আনা হয়ে থাকে, তাহলে সরকার লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সেগুলি নিয়ে আলোচনা করতে দিল না কেন ?”
আরও পড়ুন:পরিবার রাজের গ্রাসে সব দল: নড্ডা
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, বিভিন্ন রাজ্যে কৃষক বিক্ষোভের প্রভাব যদি বিহার নির্বাচনে পড়ে, তাহলে আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ, অসমের ভোটেও তা ঢেউ তুলবে। নতুন কৃষি আইন ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষকদের সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে বিরোধী শিবিরের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলই এই কথা মনে করছে।বিজেপির দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী অকালি দল এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। তাই এই আন্দোলনের পালে হাওয়া দিয়ে একে জাতীয় চেহারা দিতে তৎপর রাহুল গাঁধী।
কৃষি আইন বিরোধী প্রচারের পাশাপাশি রাহুল বলেন, “কংগ্রেস আমজনতার জন্য কাজ করে। তারা পঞ্চায়েত স্তর থেকে উন্নয়ন প্রক্রিয়া শুরু করে, যাতে প্রান্তিক মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছোয়।” বিজেপির নাম না-করে রাহুলের কটাক্ষ, “কেউ কেউ পঞ্চায়েত প্রধান, বিধায়কদের সঙ্গে কথা না-বলে তাঁদের ঘাড়ে প্রকল্পচাপিয়ে দেন। তার ফলাফল মানুষের কাছে পৌঁছেছে কিনা, তা তাঁরা জানতেও পারেন না।” পাশাপাশি নোটবাতিল, জিএসটি ও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রে ব্যর্থতা নিয়েও সরব হন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy