প্রতীকী ছবি।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় রেল সফরে যাত্রীদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার পথে এক ধাপ এগোলেন কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১০ মাস পরে দেশে খুলে দেওয়া হল ই-কেটারিং। করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রীদের দূরপাল্লার ট্রেনে ‘রেডি টু ইট মিল’ পরিবেশন করা হচ্ছিল। বিমানের ধাঁচে ওই সব প্যাকেটজাত খাদ্য যাত্রীর উপস্থিতিতেই মূলত মোড়ক খুলে গরম জল ঢেলে তৈরি করে দেওয়া হতো। পোহা, নুডলস, জাতীয় খাবারই বেশি পরিবেশন করা হচ্ছিল। স্পর্শ থেকে সংক্রমণ এড়াতেই ওই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল।
ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন সূত্রে খবর, সারা দেশে ৪৫০টিরও বেশি ভেন্ডরকে ই-কেটারিং ব্যবস্থায় খাবার সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে আইআরসিটিসি-র যে সব বেস কিচেন রয়েছে সেগুলিকেও ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। ইতিমধ্যেই রেলের ফুড প্লাজাগুলিতে বসে খাবার খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওই সব ফুড প্লাজা থেকে খাবার কিনে নিয়ে যাওয়ার সুবিধাও মিলছে। তবে, রাজধানী বা দুরন্তের মতো প্রথম সারির ট্রেন গুলিতে প্রাক-করোনা পরিস্থিতিতে টিকিটের সঙ্গে খাবারের দাম নেওয়ার যে ব্যবস্থা চালু ছিল তা এখন আর বজায় নেই। ট্রেনে কেটারি়ং সংস্থার মাধ্যমেও খাবার দেওয়া হচ্ছে না। প্রায় সব ট্রেনেই প্যান্ট্রি-কার উঠে গিয়েছে। ই-কেটারিং ব্যবস্থায় যাত্রীরা আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে চাহিদা মতো খাবার 'বুক' করার সুবিধে পাচ্ছেন। তবে, খাবার পেতে গেলে অন্তত দু ঘণ্টা আগে তা 'বুক' করতে হবে। ট্রেনে সফর করার সময়েও যাত্রীরা তাঁদের পিএনআর, ট্রেনের নাম , কোচের নম্বর এবং বার্থ নম্বর জানিয়ে আইআরসিটিসি-র ওয়েব সাইট থেকে খাবার অর্ডার করতে পারবেন। দাম মেটাতে হবে অনলাইনে। পূর্ব রেল সূত্রে খবর , দিন কয়েক আগে এ রাজ্যে হাওড়া, শিয়ালদহ,কলকাতা, দুর্গাপুর, আসানসোল এবং মালদহে ওই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বোলপুর এবং বর্ধমানকেও এর আওতায় আনা হচ্ছে। যাত্রীরা খাবার অর্ডার করলে ওই সব স্টেশন থেকে তাঁদের খাবার নির্দিষ্ট কামরায় পোঁছে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আওতায় খড়গপুর এবং নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনেও ওই সুবিধা মিলছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইআরসিটিসি-র পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র বলেন, ‘‘রেলের যাবতীয় পরিষেবা ধাপে ধাপে স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে। ই-কেটারি়ং পরিষেবা চালু তারই অঙ্গ। এর ফলে দূর পাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের খাবার পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা অনেকটাই কমবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy