Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
National News

বংশপরম্পরার রাজনীতিই ভোটে ডুবিয়েছে, জানাল কংগ্রেসের তদন্ত কমিটি

বাবা বা দাদা অনেক দিনের রাজনীতিক, মন্ত্রী, দলের প্রভাবশালী নেতা, তাই যথাক্রমে ছেলে বা ভাইকে ভোটে কংগ্রেসের টিকিট দেওয়া হয়েছে আর যেনতেনপ্রকারেন তাঁদের জিতিয়ে আনার চেষ্টা চলছে, ভোটাররা এটা মেনে নিতে পারেননি।

ছবি- রয়টার্স

ছবি- রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৫৫
Share: Save:

বংশপরম্পরার রাজনীতিই লোকসভা ও কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির অন্যতম প্রধান কারণ।

বাবা বা দাদা অনেক দিনের রাজনীতিক, মন্ত্রী, দলের প্রভাবশালী নেতা, তাই যথাক্রমে ছেলে বা ভাইকে ভোটে কংগ্রেসের টিকিট দেওয়া হয়েছে আর যেনতেনপ্রকারেন তাঁদের জিতিয়ে আনার চেষ্টা চলছে, ভোটাররা এটা মেনে নিতে পারেননি। বংশপরম্পরার রাজনীতিতেই বীতস্পৃহা এসে গিয়েছে ভোটারদের। আর সেটাই লোকসভা ও কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির অন্যতম প্রধান কারণ।

কেন হার হল ভোটে, জানতে যে তথ্য অনুসন্ধান (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং) কমিটি গড়েছিল কংগ্রেস, তারাই এই রিপোর্ট দিয়েছে। শীঘ্রই বিধানসভা ভোট হতে চলেছে দু’টি রাজ্য মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায়। তার জন্য কংগ্রেসের তোড়জোড়, প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদম‌ে।

কংগ্রেসের তথ্য অনুসন্ধান কমিটি এও বলেছে, এই সবের থেকে শিক্ষা নিয়েই এ বার প্রার্থী বাছাই করতে হবে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে। আগামী মাসে যে কয়েকটি উপনির্বাচন রয়েছে, সেখানেও এই শিক্ষাকে মনে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন- কাশ্মীরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি, মোদী সরকারের সমালোচনায় মার্কিন সেনেটর​

আরও পড়ুন- ঠিক যেন লালুপ্রসাদ! কী বললেন এই ছাত্র, যা শুনে নেটদুনিয়া মোহিত​

চার মাস আগে লোকসভা ভোটে কর্নাটকে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল কংগ্রেসকে। রাজ্যের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। আর এক বছর আগের বিধানসভা ভোটেও কর্নাটকে ধরাশায়ী হয়েছিল কংগ্রেস।

কংগ্রেসের তথ্য অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট বলছে, ২০১৮-য় কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থীতালিকায় এমন বহু নাম ছিল, যাঁরা বিধায়ক বা সাংসদদের ছেলেমেয়ে বা তাঁদের খুব ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার পুত্র যতীন্দ্র তাঁর বাবার নির্বাচন কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু সিদ্দারামাইয়া যে দু’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তার একটিতে হেরে গিয়েছিলেন। প্রাক্তন মন্ত্রী টি বি জয়চন্দ্র ও তাঁর পুত্র দু’জনেই ধরাশায়ী হয়েছিলেন। মে মাসে লোকসভা ভোটে হেরে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ মল্লিকার্জুন খড়্গে। যদিও তাঁর পুত্র প্রিয়ঙ্ক গত বছর কর্নাটকে বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে।

কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাও স্বীকার করেছেন, ‘‘কারও আত্মীয় হওয়াটাই যদি দলের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান যোগ্যতা হয়, তা হলে সেটা ভোটাররা মেনে নিতে চাইছেন না।’’

রাও এও জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে দলের পরাজয়ের দায় কাঁধে নিয়ে যখন কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাহুল গাঁধী, তখন কর্নাটকে দলের প্রায় ৯৯ শতাংশ কর্মী, নেতাই তাঁর কাছে স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy