পাক ড্রোন। -ফাইল ছবি।
পঞ্জাবে গত সেপ্টেম্বরে ড্রোন উড়িয়ে অস্ত্রশস্ত্র ফেলার ঘটনায় ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রের হাত ছিল’। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে এই রিপোর্ট দিয়েছে। ওই ড্রোন হানার খবর কেন বায়ুসেনা বা সীমান্তরক্ষী বাহিনী পায়নি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দেওয়া রিপোর্টে সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
রিপোর্ট পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ড্রোন উড়িয়ে পঞ্জাবে গত মাসে দশটি অস্ত্র ফেলা হয়েছিল। জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই ওই সব অস্ত্রশস্ত্র ফেলা হয়েছিল। যাতে জঙ্গিরা ওই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে হামলা চালাতে পারে।
ওই ঘটনায় কী ভাবে, কতটা জড়িয়ে ছিল পাকিস্তান সরকার, ইসলামাবাদের কোন কোন মুখ বা মন্ত্রকের ঠিক কী ভূমিকা ছিল, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে তা দ্রুত তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এর আগে সীমান্তে কত দিন পর পর এই ড্রোন হানা চালানো হয়েছে, সে ব্যাপারেও খবরাখবর নিতে বলা হয়েছে জাতীয় প্রযুক্তিগত গবেষণা সংস্থা (এনটিআরও)-কে। আগামী দিন সীমান্তের ও-পার থেকে ফের ড্রোন-হানা হলে, কী ভাবে হানাদার ড্রোনগুলির সঙ্গে ‘বেস স্টেশনে’র যোগাযোগ ছিন্ন করে দেওয়া যায়, এনটিআরও ইতিমধ্যেই তার প্রযুক্তি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- ‘মুচলেকা কেন?’ কাশ্মীরে রাজনীতিকদের শর্তসাপেক্ষ মুক্তি নিয়ে প্রতিবাদ মেহবুবা কন্যার
আরও পড়ুন- ভারতের আকাশে ফের পাক ড্রোন, এক সপ্তাহে তিন বার হানা
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সূত্রের খবর, পঞ্জাবের অমৃতসরে গত সেপ্টেম্বরে মোট ৮ বার ড্রোন হানাদারি চলেছিল। ফেলা হয়েছিল ১০টি একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল ও প্রচুর গ্রেনেড। আর সেগুলি সবই এসেছিল পাকিস্তান থেকে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ড্রোনগুলির মধ্যে একটি বানানো হয়েছিল চিনে। আর চিনা প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য পাকিস্তান রেঞ্জার্সের নাম কারও অজানা নয়। তবে আরও বেশি ড্রোন উড়ে এসেছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলেও রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
পঞ্জাবের গ্রামবাসীরা বুধবারও এমন ড্রোন হানার দু’টি খবর জানিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, গত কাল দু’টি ড্রোনকে তাঁরা পাকিস্তানের দিক থেকে উড়ে আসতে দেখেছেন। তাঁদের বক্তব্য, একটি উড়ে এসেছিল হাজারাসিংহ ওয়ালা গ্রামে, সন্ধ্যা সাতটা কুড়ি মিনিটে। অন্যটি উড়ে এসেছিল গত কাল রাত দশটা দশ মিনিটে, ফিরোজপুর জেলার তেন্দিওয়ালা গ্রামে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দেওয়া গোয়েন্দা সংস্থাগুলির রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতিটি ড্রোন থেকে কম করে ১০ কিলোগ্রাম ওজনের প্যাকেট ছুড়ে ফেলা হয়েছিল। সেই সব প্যাকেটে ছিল অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক, বহু দূর যোগাযোগের উপকরণ, সেলফোন এবং স্যাটেলাইট ফোন।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী অবশ্য ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়েছে, তারা আকাশে হানাদারির উপর ততটা নজর রাখে না। এই ধরনের ড্রোন হানার বেশির ভাগই হয় রাতে। অন্ধকারে খালি চোখে যা দেখাও সম্ভব হয় না।
আর বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, রেডারেও এই সব ড্রোন ধরা পড়ে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy