রাডার বিধ্বংসী ‘রুদ্রম-১’ ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: ডিআরডিও টুইটার থেকে।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রাডার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায় সাফল্য পেল ভারতের ‘প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা’ (ডিআরডিও)। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূলে শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতিবেগ সম্পন্ন (সামরিক পরিভাষায় যাকে ‘ম্যাক থ্রি’ বলা হয়) ‘রুদ্রম-১’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়েছে।
ডিআরডিও সূত্রের খবর, ‘রুদ্রম’ শত্রুপক্ষের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) এড়িয়ে রাডার, ট্র্যাকিং এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করতে সক্ষম। ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করা যেতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এ দিন একটি সুখোই যুদ্ধবিমান থেকেই সফল পরীক্ষা হয় ‘রুদ্রম-১’-এর। ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য এই প্রথম রাডার বিধ্বংসী ‘আকাশ থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করল ডিআরডিও।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ‘রুদ্রম-১’ পরীক্ষার কথা জানিয়ে এ দিন টুইটারে লেখেন, ‘ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ডিআরডিও-র তৈরি নতুন প্রজন্মের প্রথম রাডার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়েছে বালেশ্বরের ‘ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে’। এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ডিআরডিও এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি’।
The New Generation Anti-Radiation Missile (Rudram-1) which is India’s first indigenous anti-radiation missile developed by @DRDO_India for Indian Air Force was tested successfully today at ITR,Balasore. Congratulations to DRDO & other stakeholders for this remarkable achievement.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) October 9, 2020
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক এ দিন জানান, এই ‘নতুন প্রজন্মের রাডার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে’র (এনজিএআরএম) সাহায্যে গভীর সমুদ্রেও অভিযান চালাতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা। তিনি বলেন, ‘‘এই ক্ষেপণাস্ত্র ভূপৃষ্ঠ বা সমুদ্রতলের ৫০০ মিটার থেকে ১৫ কিলোমিটার উচ্চতার মধ্যে যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া যাবে। ২৫০ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে বিকিরণের উৎসগুলি খুঁজে নিয়ে ধ্বংস করতে সক্ষম রুদ্রম।’’
আরও পড়ুন: ভীমা-কোরেগাঁও হিংসায় গ্রেফতার ৮৩ বছরের মিশনারি স্টান স্বামী
ওই আধিকারিক জানান, মার্কিন ‘এজিএম-৮৮ই’ ‘অ্যান্টি রেডিয়েশন গাইডেড মিসাইল’-এর সমতুল্য রুদ্রমে রয়েছে বিশেষ প্রযুক্তি সম্পন্ন ‘আইএনএস-জিপিএস নেভিগেশন’ এবং ‘হোমিং হেড’। যা বিকিরণ বা বিচ্ছুরণের (তাপ, তেজস্ক্রিয়তা বা রশ্মি) উৎসগুলি সহজেই চিহ্নিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: চিনের সাহায্যে অধিকৃত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি বানাচ্ছে পাকিস্তান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy